ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করার সহজ উপায় | অনলাইন ইনকাম করার উপায়
ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করে সবাবলম্বী হয়েছেন এই রকম হাজার হাজার ব্যাক্তিকে খুজে পাবেন । আপনার ও কি আগ্রহ জাগে ওয়েবসাইট দিয়ে অনালাইন থেকে টাকা উপার্জন করার । তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম । আমাদের ওয়েবসাইট এ শিখানো হয় অনলাইন থেকে কিভাবে উপার্জন করা যায় সেই রকম হাজারো নিয়ম-কানুন । কিন্তু আজকে শুধু আমরা ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে আয় করা যায় এই ব্যপারে বিস্তারিত জানবো । তার আগে টুকি টাকি কিছু বিষয় আপনাকে জানতে হবে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে বুঝার জন্য ।
ওয়েবসাইট কি ?
ওয়েবসাইট হলো একাধিক অনালাইন পেইজের সমর্ষ্টি । তাহলে অনলাইন পেইজ কি ? রকম প্রশ্নের আপনার মাথায় আসবে এইটা স্বাভাবিক । এই যে আমাদের নিওটেরিক আইটি ডট কম এইটা একটা ওয়েবসাইট এইখানে হাজার হাজার পেইজ রয়েছে । আপনি লিঙ্ক এ ক্লিক করে যেকোন পেইজে ভিসিট করে দেখতে পারবেন । আপনি আমাদের সর্বশেষ আর্টিকেল দেখতে পারবেন । কোথায় কি এই রকম সব কিছু জানতে পারবেন । আমাদের ওয়েবসাইটে এসে যে কেউ মন্তব্য করতে পারবে । সহজ ভাষায় বলতে গেলে আমাদের এইটার মতো অনলাইনে ভিসিট করা যায় একাধিক পেইজকেই ওয়েবসাইট বলে । প্রতিটা ওয়েবসাইটে ভিসিট করার একটা ঠিকানা থাকে - আমাদের ওয়েবসাইটের ঠিকানা হলো neotericit.com . এই লিঙ্ক এ ভিসিট করলেই আমাদের ওয়েবসাইট চলে আসবে এইটাকে ডোমেইন বলে । ওয়েবসাইট সাধারনত দুই টাইপের হয়ে থাকে ।
ডাইনামিক ওয়েবসাইট
ডাইনামিক ওয়েবসাইট হলো পরিবর্তন যোগ্য ওয়েবসাইট । যে সাইটে প্রতিদিন নতুন কিছু পোস্ট করা হবে। প্রতিদিন আপডেট করা হবে । যেমন আমাদের ওয়েবসাইট । এইটা হলো একটা ডাইনামিক সাইট। কারন আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন নতুন নতুন কিছু কন্টেন্ট শেয়ার করা হয় । যেকোন পেইজে যেকোন আর্টিকেল চাইলে এডিট ডিলিট করা যায় ডাইনামিইক ওয়েবসাইটে । ডাইনামিক ওয়েবসাইটে ডাটাবেইজ থাকে এবং যেকোন তথ্য ডাটাবেইজ থেকে খুজে বের করা যায় । ডাটাবেইজ ব্যবহার করে এক ওয়েবসাইটের তথ্য অন্য ওয়েবসাইটে ব্যবহার করা যায় এপি আই এর মাধ্যমে ।
স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট
যে ওয়েবসাইট চালু করার পর কোড এডিট করা যায় না । এই ওয়েবসাইট শুধু HTML CSS দিয়ে ও তৈরি করা যায় । স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট এ সহজে কন্টেন্ট আপলোড করা যায় না । স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের সংখ্যা অনেক কম ।
ওয়েবসাইট কেন ?
ওয়েবসাইট কেন প্রশ্নের উত্তর অনেক কিছু হতে পারে । যেমন আপনার একটা অনলাইন ঠিকানা হতে পারে ওয়েবসাইট । অনলাইনে কোন কিছু খুজে বের করার মাধ্যম ও হতে পারে ওয়েবসাইট । যেমন গুগল । গুগল ডট কম কিন্তু একটা ওয়েবসাইট । গুগলে মাধ্যমে আমরা গুগল থেকে আমাদের প্রয়োজনীয় তথ্যা খুজে বের করতে পারি খুব সহজে । ওয়েবসাইট দিয়ে ইনকাম করা যায় , ওয়েবসাইট দিয়ে কোম্পানি বা প্রতিষ্টানের প্রচার করা যায় সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে । ওয়েবসাইট দিয়ে নিজের সম্পর্কে তথ্য উপাস্থাপন করা যায় বিশ্বের যেকোন স্থানে ।
ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় কিভাবে ?
ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করার বেশ কয়েকটা মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে বিজ্ঞাপন মাধ্যম অন্যতম । দর্শক কে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করার জন্য ওয়েবসাইটে যথেষ্ট ভিসিটর থাকতে হবে । গুগলে প্রতিনিয়ত মানুষ সার্চ করে তথ্য জানার জন্য । গুগল ব্যবহারকারীকে অনেক গুলো ওয়েবসাইট থেকে তথ্য অনুসন্ধান করে সঠিক তথ্য দেখায় । সার্চ অনুযায়ী সঠিক তথ্যা দেখানোর জন্য ওয়েবসাইট প্রদর্শন করে । সার্চ করা তথ্য খুজে পেতে ব্যবহারকারী গুগলের দেখানো সাইটে প্রবেশ করে । এইভাবে একটা ওয়েবসাইটে যথগুলো তথ্য রয়েছে ততগুলো ভিসিটর ও পাওয়া যায় গুগল থেকে ।অর্থাৎ একটা অয়েবসাইটের তথ্য যত বেশি সেই ওয়েবসাইটে ভিসিটর ও তত বেশি । গুগল থেকে আসা বা যেকোন সার্চ ইঞ্জিন থেকে আসা ভিসিটরকে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম করা যায় । সেই ভিসিটরকে কোন প্রডাক্ট প্রমোট করা যায় । প্রমোট করা সেই বিজ্ঞাপনের পন্য বিক্রির উপর কমিশন নেওয়া যায় আর সেই পদ্ধতি এক ধরনের এফিলিয়েট মার্কেটিং । এফিলিয়েট মার্কেটিং করে এমাজন থেকে মাসে লাখ টাকা উপর্জন করা যায় । নিজের পন্য বিক্রয় করেও আয় করা যায় ওয়েবসাইটের মাধ্যমে । এখন একটা ওয়েবসাইট থাকলেই কিন্তু আপনি আয় করতে পারবেন না । সেই ওয়েবসাইটে যথেষ্ট ভিসিটর ও থাকতে হবে ।
ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয়
ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করার জন্য আপনার ওয়েবসাইটে যথেষ্ট ভিসিটর থাকতে হবে । যখন ওয়েবসাইটে যথেষ্ট ভিসিটর থাকবে তখন বিজ্ঞাপনের জন্য আবেদন করবেন বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কগুলোর কাছে । বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক গুলো বিজ্ঞাপন দাতা থেকে বড় অংকের অর্থ নিয়ে থাকে এবং ওয়েবসাইতে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের মালিকদের ৬৮ % অর্থ শেয়ার করে । কন্টেন্টের জন্য AdSense-এর সাথে বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য, প্রকাশকরা পরিষেবার সাথে সম্পর্কিত Google দ্বারা স্বীকৃত রাজস্বের 68% পাবেন। অনুসন্ধানের জন্য AdSense-এর জন্য, প্রকাশকরা Google দ্বারা স্বীকৃত রাজস্বের 51% পান। প্রকাশকের ভৌগলিক অবস্থান নির্বিশেষে এই শতাংশগুলি সামঞ্জস্যপূর্ণ, এবং প্রকাশকদের মধ্যে কোনোভাবেই গড় করা হয় না । AdSense revenue share
কিভাবে সেইটা ?
যখন কোন ওয়েবসাইটে সার্চ করে একটা দর্শক আসে তখন সে তার সার্চ করা তথ্যের পাশাপাশি কিছু বিজ্ঞাপন দেখতে পারবে সেই যদি সেই বিজ্ঞাপন এ ক্লিক করে তাহলে সেই সাইটের মালিকের একাউন্ট অর্থ যোগ হবে । বিজ্ঞাপনের নেটওয়ার্ক গুলো দুইভাবে বিড করে থাকে । প্রতি ভিউ এবং ক্লিকে ।
বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কে কোম্পানি
- AdSense
- Media.net.
- Adcash
- BuySellAds
- Propeller Ads
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার অনেক সু্যোগ হয়ে যাবে যখনি আপনার সাইটে নিয়মিত ভিসিটর আসতে থাকবে । আপনি যদি একটা মোবাইলের রিভিউ করেন এবং সেই মোবাইল কিনার জন্য যদি একটা এফিলিয়েট লিঙ্ক জেনেরেট করে ডাউনলোড লিঙ্ক সেই রিউভিউ করা আর্টিকেলে যুক্ত করে অর্ডার করার জন্য বলেন । তাহলে উক্ত পোস্টে ভিসিট করা ব্যক্তিগুলো ঐ বাটনে ক্লিক করবে । কারন সে মোবাইলটা কিনবে বলেই কিন্তু গুগলে সার্চ করে তথ্য জানতে চাচ্ছে । তাই রিলেটিভ আর্টিকেলের সাথে মিলিয়ে যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায় থাহলে সফলতা সম্ভব । যদি আপনি এমাজন এর একটা টিভি নিয়ে এমেরিকাতে মার্কেটিং করতে চান তাহলে এমেরিকা লোকেশন টার্গেট করে একটা কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে এবং সেই কিওয়ার্ডে ভালো একটা আর্টিকেলের সাথে এফিলিয়েট লিঙ্ক দিয়ে পাবলিশ করেন তাহলে যখনি আপনার সেই আর্টিকেল গুগলে রেঙ্ক করবে তখন আপনার এফিলিয়েট লিঙ্ক এর মাধ্যমে অনেকে প্রডাক্টটা অর্ডার করতে চাইবে । এর মাধ্যমে আপনি কমিশন পেয়ে যাবেন ।
এফিলিয়েট মার্কেটিং শুধু এমাজন নয় বাংলাদেশে ও করা যায় । এপনি একটু খুজে দেখলেই ভালো ভালো এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট খুজে পাবেন ।
এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট ঃ
- Amazon affiliate marketing
- ClickBank
- MyLead
- daraj
- bdshop
গুগল এডসেন্স বিজ্ঞাপন দিয়ে ওয়েবসাইট থেকে আয়
গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে ওয়েবসাইট থেকে আয় করার জন্য আপনার ওয়েবসাইটে কমপক্ষে দিনে ২০-৩০ টা গুগল থেকে ক্লিক আসতে হবে । মানে আপনার ওয়েবসাইটে দিনে সার্চ দিয়ে ২০-৩০ জন ইউনিক ভিসিটর গুগল থেকে আসতে হবে । যদি আপনার ওয়েবসাইটে ২০-৩০ জন ইউনিক ভিসিটর আসে তাহলে \আপনি মনিটাইজ এর জন্য আবেদন করতে পারবেন । গুগল মনিটাইজ দিলেই আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে । তারপর ১০ ডলার হলে আপনাকে পিন ভেরিফাই করতে বলবে । পিন ভেরিফাই করার পর আপনি ১০০ ডলার হলে ব্যংকের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন । এডসেন্স এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করার ব্যবপারে আমি আগামীতে একটা সম্পূর্ণ আর্টিকেল লিখবে যা নিছে আমি লিঙ্কআপ করে দিব । সেইখানে আমি বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ ।
ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে ?
ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে জানেন ? ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে চাচ্ছেন তার আগে আপনাকে জেনে নিতে হবে ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে ।ওয়েবসাইট অনেক উপায়ে তৈরি করা যায় । কিন্তু তৈরি করতে একটা নাম লাগে যাকে ব্রাউজার এর মাধ্যমে ডাক দিলে ওয়েবসাইট চলে আসবে আর ওয়েবসাইট এর ফাইলগুলো অনলাইনে জমা রাখার জন্য হোস্টিং লাগবে । যেমন আমাদের ওয়েবসাটের neotericit.com লিখে ব্রাউজারে এন্টার করলেই আমাদের ওয়েবসাইট চলে আসবে । এই নামটাই হলো ডোমাইন নেইম । আর আমাদের ওয়েবসাইট এর ফাইল গুলো অনলাইন মেমোরিতে জমা রাখার জন্য অনলাইন থেকে হোস্টিং নিতে হয় । এক কথায় ওয়েবসাইট তৈরিতে লাগে
১। ডোমেইন
২। হোস্টিং
৩। কন্টেন্ট
ওয়েবসাইট তৈরি করতে খরচ কত হবে ?
তবে ব্লগিং এর জন্য হলে এমন কিছু প্লাটফর্ম আছে হোস্টিং ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন , এবং শুধু ডোমেইন ফি দিলেই আপনি একটা ব্লগিং ওয়েবসাইট সক্রিয় করতে পারবেন ।
গুগলের ব্লগার নামক একটা প্লাটফর্ম থেকে আপনি শুধু একটা ডোমেইন সেটআপ করে ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন এবং সেই ওয়েবসাইট থেকেও আপনি ইনকাম করতে পারবেন । উদাহারন স্বরূপ আমাদের ওয়েবসাইট ও ব্লগারে হোস্ট করা ।
আজকে আমি ব্লগারে ওয়েবসাইট তৈরি করে ইনকাম করার জন্য সংক্ষেপে কিছু আলচনা করব ।
ফ্রি ব্লগ সাইট তৈরি করে আয়
গুগলের প্লাটফর্ম ব্লগার ডট কম থেকে আপনি নিজে একটা ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন খুব সহজে এবং সেই ওয়েবসাইটে সুন্দর একটা থিম আপলোড করবেন । তারপর কন্টেন্ট আপলোড করতে থাকবেন নিয়মিত । একসময় আপনার কন্টেন্ট গুগলে মানুষ সার্চ করে খুজে পাবে এবং ভিসিটর আসবে আপনার সাইটে । যখনি দিনে হাজারের ও বেশি ভিসিটর আপনার সাইটে আসবে তখন আপনি গুগল এডসেন্স এর জন্য আব্দেওন করবেন । যদি আপনার ওয়েবসাইট গুগল এপ্রুভ করে তাহলে সেই দিন থেকে আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে । এইভাবে একটা ওয়েবসাইট থেকে খুব সহজে ইনকাম করা যায় । এর বিস্তারিত আগামী পোস্টএ সাথে থাকুন ।
সর্বশেষ
এ একটা কথায় বলবো , অনলাইনে ইনকাম করার অনেক উপায় আছে আপনি চাইলে যেকোন একটা শিখতে পারেন । কিন্তু প্রতিটা কাজ শিখার পর আপনাকে টাকা উপার্জনের জন্য ধৈর্য ধরতে হবে । অপেক্ষা করতে হবে । নিয়মিত চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে । অনেক সময় একাউন্ট নষ্ট হয়ে যেতে পারে , গুগল থেকে ট্রাফিক নাও আসতে পারে । এডসেন্স এপ্রুভ দিয়ে অনেক সময় নিতে পারে । কিন্তু আপনাকে ধৈর্য ধরে প্রচেষ্টা করে যেতে হবে । তাহলে সফলতা সম্ভব । শুভ কামনা ।