যে যেমন তার জীবনসঙ্গী তেমন - life partner
যে যেমন তার জীবনসঙ্গী তেমন এইটা ইসলামে বলা আছে । আমাদের মুরুব্বিরা এইটাই বলে যার চরিত্র যেমন সেই তার জীবন সঙ্গি ও তেমন পাবে । মহান আল্লাহ তার জন্য তার মতো একজন জীবন সঙ্গি রাখবেন ।
যে যেমন তার জীবনসঙ্গী তেমন - life partner
আজকের এই আর্টিকেলের যে কিওয়ার্ডগুলো ফকাস করা হয়েছে জীবনসঙ্গী,আপনি কেমন জীবনসঙ্গী পাবেন,জানুন আপনি কেমন জীবনসঙ্গী পাবেন,নামের প্রথম অক্ষর বলে দিবে আপনি কেমন জীবনসঙ্গী পাবেন,জীবনসঙ্গী করার দোয়া,এমন জীবনসঙ্গী ক’জন পায়?,নামের প্রথম অক্ষর বলে দেবে আপনি কেমন জীবনসঙ্গী পাবেন,এমন জীবনসঙ্গী ক’জন ছেলে পায়?,বাকি জিন্দেগি একজন জীবনসঙ্গী,কাউকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পাওয়ার,গুড্ডি তারকাদের বাস্তব জীবনসঙ্গী,অনুরাগের ছোঁয়া তারকাদের জীবনসঙ্গী,জীবনসঙ্গী পাওয়ার জন্য দোয়া করা যাবে কি,দ্রুত বিয়ে ও উত্তম জীবনসঙ্গী পাওয়ার আমল ।
জীবন সঙ্গি কেমন হতে পারে ?
"যে যেমন তার জীবনসঙ্গী তেমন"! আসলে সূরা নূরের ২৬ নং আয়াতের উদ্দেশ্য এটা নয়!
অনেকেই সুরা নূর-এর ২৬ নাম্বার আয়াত দিয়ে বলে থাকে যে, যে যেমন তার স্ত্রী অথবা স্বামীও হবে ঠিক তেমনই। কথাটা কতটুকু সঠিক? অথবা উক্ত আয়াত দ্বারা আল্লাহ্ কি বুঝাতে চেয়েছেন ?
জবাবে বলা যায়, যে যেমন চরিত্রের তার স্ত্রী অথবা স্বামীও হবে তেমন চরিত্রের এই কথা সূরা নূরের ২৬ নং আয়াতে বলা হয়নি।
একটু লক্ষ্য করুন :
ফেরাউনের নাম জানে না, এমন মুসলিম হয়তো নাই! এই ফেরাউনের স্ত্রী আছিয়া বেগম একজন জান্নাতী নারী! যিনি দুনিয়াতেই জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছেন! কিন্তু ফেরাউন কি জান্নাতের গন্ধ পাবে? সে তো চিরস্থায়ী জাহান্নামী! এখানে তাদের চরিত্রে আকাশ পাতাল তফাৎ! অন্য দিকে বাদশা ইমরানের স্ত্রী একজন চরিত্রহীনা নারী! সূরা ইউসুফের বর্ননায় এই জুলেখা ইউসুফ (আঃ) -কে কলঙ্কিত করেছে! কিন্তু তার স্বামী একজন ন্যায় পরায়ণ চরিত্রবান শাসক ছিলেন! এখানেও তো দুজনের চরিত্র ভিন্ন রূপে দেখতে পাচ্ছি! কিন্তু তারা তো একে অপরের জীবনসঙ্গী ছিলেন!
এবার বলুন তো আপনার এই (যে যেমন তার জীবনসঙ্গী তেমন) কথা সত্য কি না?
সুতরাং বাংলা অর্থ দিয়েই কুরআন বুঝা যাবে না! কুরআন বুঝতে হবে, কখন কোন অবস্থায় কোন আয়াত নাযিল হলো, কেন হলো তার ব্যাখ্যা দিয়ে! আর এইজন্য আপনাকে কুরআনের তাফসীর পড়তে হবে!
আল্লাহ তা'য়ালা বলেছেন, "দুশ্চরিত্রা নারী দুশ্চরিত্র পুরুষদের জন্য; দুশ্চরিত্র পুরুষ দুশ্চরিত্রা নারীর জন্য; সচ্চরিত্রা নারী সচ্চরিত্র পুরুষের জন্য এবং সচ্চরিত্র পুরুষ সচ্চরিত্রা নারীর জন্য। লোকেরা যা বলে তার সাথে তারা সম্পর্কহীন; তাদের জন্য আছে ক্ষমা এবং সম্মানজনক জীবিকা"।
------>[সূরা নূর আয়াত ২৬]।
উক্ত আয়াতে এটা পরিষ্কার করে বলা হয়েছে যে, দুশ্চরিত্রা নারী দুশ্চরিত্র পুরুষদের জন্য, অর্থাৎ দুশ্চরিত্রা নারী কেবল দুশ্চরিত্র পুরুষের সাথে মানায়, কোনো ঈমানদারের সাথে নয়। ঠিক তেমনি দুশ্চরিত্র পুরুষ দুশ্চরিত্রা নারীর জন্য অর্থাৎ দুশ্চরিত্র পুরুষ কেবল দুশ্চরিত্রা নারীর সাথে মানায়, কোনো ঈমানদার নারীর সাথে নয়। আর এই কথাটা মহান আল্লাহ আরো পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন একই সূরার ৩ নং আয়াতে। আল্লাহ্ বলেছেন,
"ব্যভিচারী পুরুষ কেবল ব্যভিচারিণী নারী অথবা মুশরিকা নারীকেই বিয়ে করে।”