সফলতা নিয়ে ইসলামিক উক্তি - Islamic Quotes About Success
প্রিয় ইসলামি ভাই ও বোনেরা , আশাকরি সকলে ভালো আছেন , আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম সেরা কিছু সফলতা নিয়ে ইসলামিক উক্তি । এই পর্বের মাধ্যমে আপনারা সেরা কিছু উক্তি এবং অনুপ্রেরনা মুলক কথাবার্তা ইসলামিক ভাবে খুজে পাবেন ।
সফলতা নিয়ে ইসলামিক উক্তি লিখে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সার্চ করে থাকেন গুগলে , সুন্দর কিছু ইসলামিক উক্তি খুজার জন্য , তাই আজকের পর্বে বাচাই করা সুন্দর কিছু উক্তি শেয়ার করা হলো নিওটেরিক আইটির আজকের এই পর্বে এই পেইজে ।
সফলতা নিয়ে ইসলামিক উক্তি
দুনিয়ার সফলতা কখন পকৃত বা স্থায়ী সফলতা নয় । তাই আপনাকে পরকালের সফলতার কথা চিন্তা করা উচিত , আল্লাহ রাসুলের দেওয়া আদর্শ পথ অনুসরন করলেই , আখিরাতে সফল হওয়া যায়। আল্লাহ আমাদের বুঝার তাওফিক দান করুক । মনে রাখবেন আপনি যদি দুনিয়ে সফল হন তবে সেইটা আপনার হায়াত যতদিন আছে ততদিন কাজে আসবে । মানে আপনি একটু সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন । তবে এই নয় যে আপনি দুনিয়াতে সফল হলে পরকালে ব্যর্ত হবেন । আপনাকে আল্লাহ ও রাসুলের দেখানো আদর্শ পথ অনুসরন করতে হবে তাহলে আপনি দুনিয়া এবং আখিরাতে সফল হতে পারবেন । এমন কিছু করুন যাতে আল্লাহ রাসুলের সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারেন এবং নিজেও দুনিয়াতে সুন্দর সুখ শান্তিতে চলতে পারেন তাহলে আপনি সফল হতে পারেন । আল্লাহ আমাদের সকলকে বুঝার তাওফিক দান করুক , আমিন
যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন যাতে তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে পারেন যে, কে তোমাদের মধ্যে আমলের দিক থেকে উত্তম। আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, অতিশয় ক্ষমাশীল। (সুরা মুলক,আয়াত-২)
রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: সে ব্যক্তি ভাল কর্মী, যে আল্লাহ তা’য়ালার হারামকৃত বিষয়াদি থেকে সর্বাধিক বেঁচে থাকে এবং আল্লাহ তা‘আলার আনুগত্য করার জন্য সদাসর্বদা উন্মুখ হয়ে থাকে। (কুরতুবী)
আল্লাহ বলেন -তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সেই অধিক মর্যাদাসম্পন্ন যে তোমাদের মধ্যে অধিক তাকওয়া সম্পন্ন। নিশ্চয় আল্লাহ তো সর্বজ্ঞ, সম্যক অবহিত। (সুরা হুজরাত আয়াত-১৩)
পার্থিব জীবন ক্রিয়া কৌতুক ব্যতীত কিছুই নাই, পরকালের আবাস পরহেযগারদের জন্যে শ্রেষ্টতর।,,সূরা আল আনআম ২৬
প্রত্যেক ব্যক্তি তার কাজের সেই ফল পাবে যা নিয়ত করেছে।,,হযরত মোহাম্মদ স:
যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর প্রবল বিশ্বাস রাখে আল্লাহ তা’আলা তাঁর কোনো ইচ্ছা অপূর্ন রাখেন না।,,হযরত ওমর র:
দুনিয়া অর্জনের জন্য নয় দুনিয়া বিমুখতা রয়েছে দেহ মনের শান্তি।,,
তারিখে উমার
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ মানবজীবনের সফলতার মানদণ্ড ঘোষণা করেছেন- যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন যাতে তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে পারেন যে, কে তোমাদের মধ্যে আমলের দিক থেকে উত্তম। আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, অতিশয় ক্ষমাশীল। (সুরা মুলক,আয়াত-২)
মানুষের জীবন সৃষ্টির উদ্দেশ্যকে লক্ষ্য করে আল্লাহ বলেছেন যে ব্যক্তি সৎ আমল করে সেই সর্বশ্রেষ্ঠ।
সৎ আমলের পরিচয় তুলে ধরে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: সে ব্যক্তি ভাল কর্মী, যে আল্লাহ তা’য়ালার হারামকৃত বিষয়াদি থেকে সর্বাধিক বেঁচে থাকে এবং আল্লাহ তা‘আলার আনুগত্য করার জন্য সদাসর্বদা উন্মুখ হয়ে থাকে। (কুরতুবী)
অথচ আমাদের কারোও কাছে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের নাম সফলতা। আবার অনেকের কাছেই বিপুল পরিমাণ বিত্ত-বৈভবের মালিক হওয়া। কিংবা বিপুল সুনাম অর্জনের নামই সফলতা। বলা হয়ে থাকে দুনিয়া আখিরাতের শস্যখেত।
মুমিনের দুনিয়া ও আখিরাতের জীবন একই সূত্রে বাধা। তাই এই গুলোর একটিও মুমিনের ইহকালীন ও পরকালীন জীবনের সফলতার মাপকাঠি হতে পারে না।
আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেন - অবশ্যই মুমিনরা সফল হয়েছে, যারা নিজদের সালাতে বিনয়াবনত। আর যারা অনর্থক কথাকর্ম থেকে বিমুখ। আর যারা যাকাতের ক্ষেত্রে সক্রিয়।
আর যারা তাদের নিজদের লজ্জাস্থানের হিফাযতকারী। তবে তাদের স্ত্রী ও তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে তারা ছাড়া, নিশ্চয় এতে তারা নিন্দিত হবে না। অতঃপর যারা এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী। আর যারা নিজদের আমানতসমূহ ও অঙ্গীকারে যত্নবান। আর যারা নিজদের সালাতসমূহ হিফাযত করে। তারাই হবে ওয়ারিস। যারা ফিরদাউসের অধিকারী হবে। তারা সেখানে স্থায়ী হবে। (সুরা মুমিনুন,আয়াত-১-১১)
আল্লাহর ভয় অর্জন করা হচ্ছে জীবনে সফলতা অর্জনের একটি অন্যতম মানদণ্ড। আল্লাহ বলেন -তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সেই অধিক মর্যাদাসম্পন্ন যে তোমাদের মধ্যে অধিক তাকওয়া সম্পন্ন। নিশ্চয় আল্লাহ তো সর্বজ্ঞ, সম্যক অবহিত। (সুরা হুজরাত আয়াত-১৩)
যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে চলে তিনি দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জগতেই সম্মানিত হয়। সকলেই তাকে বিশ্বাস করে, ভালোবাসে। অন্যত্র আল্লাহ বলেন- যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য উত্তরণের পথ তৈরী করে দেন। এবং তিনি তাকে এমন উৎস থেকে রিযক দিবেন যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। আর যে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। (সুরা তালাক, আয়াত২-৩)
এছাড়াও জীবনে সফলতার অনেক গুলো পথ আল্লাহ রব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনুল কারীমে বর্ণনা করেছেন। এর একটি পথ হচ্ছে যে কৃপণতা করে না সে সফল : তোমরা আল্লাহকে যথাসাধ্য ভয় কর, শোনো, আনুগত্য কর এবং ব্যয় কর। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। যারা মনের কার্পণ্য থেকে মুক্ত তারাই সফলকাম। (৬৪ সূরা তাগাবুন:১৬)
সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধের মাধ্যমে আমাদের ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজ জীবন যেমন সুন্দর হয়। তেমনিভাবে জীবনে আসে সফলতা। আল্লাহ বলেন, আর তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল থাকা দরকার যারা মানুষকে ভালোর দিকে আহবান করে এবং সৎ কাজের আদেশ করতে থাকে ও অসৎ কাজ হতে নিষেধ করতে থাকে, আর এরাই হবে সফলকাম। (৩ সূরা আলে-ইমরান:১০৪)
আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্যই হচ্ছে আমাদের দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতার চূড়ান্ত পথ। আল্লাহ বলেন -আর যে কেউ আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য করে, আল্লাহকে ভয় করে এবং তাঁর তাকওয়া অবলম্বন করে, তারাই কৃতকার্য। (সুরা নূর, আয়াত -৫২)
দুনিয়ার জীবন খুবই ক্ষণস্থায়ী। দুনিয়ার তুচ্ছতা সম্বন্ধে এক হাদিসে বলেছেন-জাবের (রা.) হতে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ (সা.) একটি কান কাটা মৃত বকরীর বাচ্চার নিকট দিয়ে অতিক্রমকালে বললেন, ‘তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে, যে এটাকে এক দিরহামের বিনিময়ে নিতে পছন্দ করবে? তারা বললেন, আমরা তো এটাকে কোন কিছুর বিনিময়েই নিতে পসন্দ করব না।
তখন তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! এটা তোমাদের কাছে যতটুকু নিকৃষ্ট, আল্লাহর কাছে দুনিয়া (এবং তার সম্পদ) এর চাইতেও অধিক নিকৃষ্ট (মুসলিম, মিশকাত হা/৫১৫৭)।
দুনিয়া অর্জনের আকাঙ্ক্ষায় যেন আমরা আখিরাতের জীবনের নেক আমল অর্জন থেকে গাফেল না হই। আমরা যখন চিরসুখের জান্নাত লাভে সক্ষম হব তখনই আসবে আমাদের জীবনে সত্যিকার সফলতা।
আল্লাহ বলেন- প্রত্যেক প্রাণকেই মরণের স্বাদ নিতে হবে। কিয়ামতের দিন তোমাদের কর্মফল পুরো করে দেয়া হবে। যাকে আগুন থেকে দূরে রাখা হবে ও জান্নাতে যেতে দেওয়া হবে সে-ই সফলকাম। আর পার্থিব জীবন তো ছলনাময় ভোগ ছাড়া আর কিছুই নয়। আল কোরআন (সুরা আলে-ইমরান:১৮৫)