পুরুষের শরীরে অতিরিক্ত লোম হওয়ার কারণ কি | ছেলেদের বুকে লোম গজানোর উপায় - body hair
শরীরে লোম সাধারণত কম-বেশি সকলেরই হয়ে থাকে। হাতে, পায়ে, গলায়, বুকে, ঘাড়ে, ও কব্জির পেছনে লোম দেখা যায়। আবার অনেকের শরীরে এই লোম খুবই কম দেখা যায়। বিশেষ করে মেয়েদের থেকে ছেলেদের শরীরে লোমের আধিক্য অনেক বেশি হয়ে থাকে। আজকের পোস্টে পুরুষের শরীরে অতিরিক্ত লোম হওয়ার কারণ কি, ছেলেদের বুকের লোম গজানোর উপায়,মেয়েদের বুকের লোম হওয়ার কারণ ও লোমনাশক ঔষধের নাম নিয়ে আলোচনা করা হবে। নিওটেরিক আইটির এই নতুন আর্টিকেলে আপনারা ছেলেদের বুকে লোম গজানোর উপায় সম্পর্কে ও জানতে পারবেন । তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক:-
পুরুষের শরীরে অতিরিক্ত লোম হওয়ার কারণ কি - ছেলেদের বুকে লোম গজানোর উপায় - body hair - NeotericIT.com
বুকে লোম থাকলে কি হয়
মেয়ে পুরুষ সবার বুকেই লোম থাকে। যেহেতু মেয়েদের শরীরে টেষ্টোরন হরমোনের মাত্রা পুরুষদের তুলনায় অনেক কম তাই লোম বোঝা যায় না। পুরুষদের শরীরের টেস্টোরন হরমোন অনেক বেশি হওয়ায় তাদের লোম অনেক ঘন হয়ে থাকে এবং বাইরে থেকে সৌন্দর্য লাগে।তাছাড়া বুকের লোমের বাড়তি কোনো উপকারিতা নেই বললেই চলে।
ছেলেদের বুকে লোম না থাকলে কি হয়
অনেকের ধারণা যেসব পুরুষের বুকে অত্যাধিক লোম থাকে তারা অল্পতেই সন্তুষ্ট হয়ে থাকেন। তাছাড়া এরা বুদ্ধিতে ও শক্তিতে অন্যদের তুলনায় অনেকটা এগিয়ে থাকেন। এদের দাম্পত্য জীবন অনেক মধুর হয়ে থাকে ও সংসার জীবনে অনেক শান্তি থাকে। তাছাড়া অনেকে বলে থাকেন যাদের বুকের ভিতর লোম নেই তারা অনেকটা বেসরম ও স্বার্থপর হয়ে থাকেন। তবে এর কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই তাই এটা না ভাবায় স্বাভাবিক।
পুরুষের শরীরে অতিরিক্ত লোম হওয়ার কারণ কি
ছেলেদের শরীরে থাকা পুরুষ হরমোন অতিরিক্ত লোম হওয়ার জন্য দায়ী।পুরুষের শরীরে টেস্টোরন হরমোন বেশি থাকার কারণে লোম বেশি হয় ও মেয়েদের শরীরে
টেস্টোরন হরমোন কম থাকার কারণে কম হয়।তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারছেন যে পুরুষের শরীরে টেস্টোরন হরমোনের প্রভাবের কারণে অতিরিক্ত লোম হয়ে থাকে।
ছেলেদের বুকে লোম গজানোর উপায়
ছেলেদের বুকের লোম আলাদা সৌন্দর্য বহন করে থাকে। সাধারণত ছেলেদের বুকের লোম হরমোনের কারণে হয়ে থাকে আর যত বয়স বাড়ে তত ছেলেদের হরমোনের মাত্রা কমে থাকে। তাই এমন কোন উপায় নেই যেটা ব্যবহার করলে ছেলেদের বুকে কার্যকরী ভাবে লোম গজাবে। তবে ছেলেদের বুকের লোম যদি অনেক পাতলা হয়ে থাকে তাহলে পেঁয়াজের রস লাগানোর মাধ্যমে বুকের লোম অনেকটা ঘন করা যায়। তবে আপনারা চাইলে টেস্টোরন হরমোন বাড়ানো খাবার ডিমের কুসুম, অলিভ অয়েল, নারকেল তেল, কডলিভার তেল, লাল আঙ্গুর,ডালিম কাজুবাদাম শাক বাঁধাকপি এই সকল খাবার গুলো খেতে পারেন তাহলে উপকার পেলেও পতে পারেন।
মেয়েদের বুকে লোম হওয়ার কারন
মহিলাদের মধ্যে অনেকের শরীরে লোমের আধিক্য বেশি দেখা যায়।বিশেষ করে অনেক মহিলা রয়েছে যাদের হাত ও পায়ে লোম অনেক বেশি থাকে। এই লোম কিন্তু এক ধরনের হরমোনের কারণে হয়ে থাকে। তাছাড়া অনেক মহিলা রয়েছে যাদের মুখ ও শরীরের নানান অংশে অনেক বেশি চুল দেখা যায়। এই পরিস্থিতিকে সাধারণত হার্সুটিজম বলা হয়ে থাকে।আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে মহিলাদের মুখ ও শরীরে হালকা রঙের লোম থাকে, কিন্তু হার্সুটিজমের ক্ষেত্রে মোটা ও কালো লোম দেখা যায়।আর এই অযাযিত লোম মুখ, হাত পিঠ ইত্যাদি যে কোন স্থানেই হতে পারে। কোন কোন মহিলাদের ক্ষেত্রে টেস্টোরোন হরমোনের মাত্রা অনেক বেশি হয়ে থাকে তাদের সাধারণত অনেক বেশি লোম হয়ে থাকে।তবে এটি শরীরের কোন ধরনের ক্ষতিসাধন করে না।
লোম নাশক ঔষধের নাম
কারো ক্ষেত্রে লোম সৌন্দর্যের কারণ হলেও কারো কাছে এই লোম অবাঞ্ছিত লোম হয়ে থাকে। যার কারনে অনেকেই লোমনাশক ঔষধের নাম খুজে থাকেন। তবে ওষুধের থেকে প্রথমে প্রাকৃতিক উপায়ে আপনারা চেষ্টা করতে পারেন। প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে শরীরের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার পদ্ধতি হলো সুগারিং। এই পদ্ধতিতে চিনির সাথে লেবুর রস ও পানি মেশাতে হয়।
অন্যান্য ওয়্যাক্সিং পদ্ধতির মত এখানে কাগজের স্ট্রিপ ও প্রয়োজন নেই। হাত দিয়ে টেনেই লোমসহ মিশ্রণটি খুব সহজেই তুলে ফেলা যাবে।
তৈরীর পদ্ধতিঃ আধা কাপ চিনির সাথে দুই টেবিল চামচ লেবুর রস ও পানি মিশিয়ে নিতে হবে। তারপরে মিশ্রণটি হালকা আচে গরম করে নিতে হবে।গরম করা অবস্থায় আস্তে আস্তে নাড়তে হবে।
কিছুক্ষণ পরেই মিশ্রণটির রং পরিবর্তন হওয়া শুরু করবে। বাদামি থেকে সোনালী রং হওয়া মাত্রই চুলা থেকে মিশ্রনটি নামিয়ে ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিতে হবে। তাহলে দেখতে পারবেন যে আঠালো মিশ্রণ তৈরি হয়েছে।অনেকটা মধুর মতো বা মধুর থেকেও ঘন ও আঠালো হবে।
তারপর হাত পানিতে ভিজিয়ে হালকা গরম থাকা অবস্থায় মিশ্রণটি হাতে নিয়ে গোলবলের মত তৈরি করে ফেলতে হবে। তারপর গরম বেশি হলে বারবার হাত পানিতে ভিজিয়ে মিশ্রণের বলটিতে পানি মাখিয়ে ঠান্ডা করে ফেলতে হবে। এবার আপনাদেরকে যে স্থানের লোম অপসারণ করতে চান সেই স্থানে মাখাতে হবে। তবে মাখানোর সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে লোম যেদিকে বের হয় তার উল্টোদিকে মাখাতে হবে। এবার কয়েক সেকেন্ড রেখে দিয়ে লোম যেদিকে বাড়ে সেদিকে টেনে মিশ্রণটি তুলতে হবে। এর মাধ্যমে রুমের বৃদ্ধি প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে না ও তোলার সময় লোম ছিঁড়বে না। তাছাড়া এই পদ্ধতিতে যন্ত্রণার মাত্রা অনেক কম।
তাছাড়া অনেকেই লোম দূর করার জন্য ক্রিম বা ঔষধ ব্যবহার করে থাকেন। তবে এগুলোর অবশ্যই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যার কারণে ক্ষতিসাধন হতে পারে।মেয়েরা অনেকেই veet hair রিমুভাল ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন।
মেয়েদের পায়ে লোম থাকলে কি হয়
হিন্দু শাস্ত্র মতে মেয়েদের পায়ে লোম থাকা অনেকটা শুভ। তাদের ভাষ্যমতে এই ধরনের মহিলারা অনেক ভাগ্যবতী হয়ে থাকে। তারা যেকোনো কাজ একাগ্রতার সাথে করতে পারে। তাছাড়া তারা সংসারে সুখ শান্তি বয়ে আনে।
শেষ কথা, আশা করি আজকের পোস্টটি যারা পড়েছেন তারা লোম গজানোর উপায় বা পুরুষের সত্যিই শরীরে অতিরিক্ত লোম হওয়ার কারণ কি এই বিষয়ে পরিপূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। তারপরেও যদি এই নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে বা পোস্টটি পড়ে কোন বিষয় সম্পর্কে বুঝতে কোন ধরনের অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।