ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার | কিভাবে জানতে পারবেন ডেঙ্গু হয়েছে কিনা - dengue fever

 ডেঙ্গু জ্বর কে আমরা অনেকেই ভাইরাল জ্বর ভেবে উপেক্ষা করে থাকি। দুটি জ্বর অনেকটা একরকম হলেও ডেঙ্গু জ্বর খুবই মারাত্মক হয়ে থাকে। স্ত্রী এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে। ডেঙ্গু জ্বর হলে সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না করালে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই কারো ডেঙ্গু জ্বর হলে কখনোই অবহেলার চোখে দেখা উচিত নয়। আজকের পোস্টে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ, ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে, ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে ও ডেঙ্গু জ্বর কি ছোয়াচে এই নিয়ে কিছুটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। 

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার - কিভাবে জানতে পারবেন ডেঙ্গু হয়েছে কিনা - dengue fever  - NeotericIT.com


ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে নিওটেরিক আইটির এই পরিপূর্ন আর্টিকেলে আপনারা আপনাদের সকল তথ্য জানতে পারবেন । তার আগে আমাদের ডেঙ্গু জর কেন হয় তা জানতে হবে । 

ডেঙ্গু জ্বর কেন হয় 

ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি হয়ে থাকে ডেঙ্গু ভাইরাসের মাধ্যমে। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী কোন মশা কোন ব্যক্তিকে কামড়ালে, সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এবার এই আক্রান্ত ব্যক্তিকে যদি কোন জীবাণুবিহীন মশাই কামড় দিয়ে থাকে তাহলে সেই মশাটি ডেঙ্গু জ্বরের জীবনবাহী মশাই পরিণত হয়। এভাবে ডেঙ্গু জ্বর খুব সহজেই একই স্থান থেকে অন্য স্থানে এবং একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গগুলো রোগী আক্রান্ত হওয়ার কয়েকদিন পরে প্রকাশ পেয়ে থাকে। 


ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার - কিভাবে জানতে পারবেন ডেঙ্গু হয়েছে কিনা - dengue fever  - NeotericIT.com

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার। ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ২০২৩

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ২০২৩ ঃ ডেঙ্গু জ্বরের প্রাথমিক লক্ষণ হলো জ্বর। অনেকেই আছেন ডেঙ্গু জ্বর কে ভাইরাল জ্বর বলে অবহেলা করে থাকেন।অবহেলা করলে ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বর ও হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর। অনেক ক্ষেত্রে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের কোন লক্ষণ দেখা যায় না।


ডেঙ্গু রোগ সনাক্ত করে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে খুব সহজেই পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। ডেঙ্গু জ্বর হলে কিছু লক্ষণ দেখা যায় তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:-


  • রোগীর প্রচন্ড পরিমাণে পেট ব্যাথা হতে পারে। 
  • রোগীর প্রচন্ড পরিমাণে হঠাৎ করে জ্বর আসতে পারে। 
  • মাথাব্যথা ও বমি ভাব হতে পারে। 
  • চোখের পিছনের দিকে ব্যথা হতে পারে। 
  • মাংসপেশী হাড় ও অস্তিসজ্জিতে ব্যাথা হতে পারে। 
  • তাছাড়া রোগীর শরীর ছোপ ছোপ র্যাশ দেখা দিতে পারে।


কারো যদি প্রচন্ড জ্বরের পাশাপাশি এই লক্ষণগুলো  প্রকাশ পেয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ডেঙ্গু জ্বর পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে। 

বাচ্চাদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ

ডেঙ্গু জ্বরের সমস্যা ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের বেশি হয়ে থাকে। তাছাড়া এই রোগে শিশুদের জটিলতার হারও অনেক বেশি। ডেঙ্গু জ্বরের ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার সাধারণত চার থেকে সাত দিনের মধ্যে জ্বরের উপসর্গ প্রকাশ পেয়ে থাকে।বাচ্চাদের ডেঙ্গু জ্বর হলে যে উপসর্গ বা লক্ষণ গুলো দেখা যায় তা নিচে দেওয়া হলো:-


➡️ বাচ্চাদের অতিরিক্ত পেটে ব্যথা হয়ে থাকে। কারো কারো ক্ষেত্রে অনবরত বমি দেখা যায়। 

➡️ শিশুদের অতিরিক্ত দুর্বলতা ও মাড়ি থেকে রক্তপাতের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। 

➡️ শরীরের রক্তচাপ বিপদজনকভাবে অনেক কমে যেতে পারে। 

➡️ শিশুদের ক্ষুধা অনেক কমে যায়।

➡️ কোন কোন শিশুর ক্ষেত্রে জ্বরের পরিমাণ ১০০ হতে পারে আবার অনেক ক্ষেত্রে জ্বর কম ও থাকতে পারে। 

➡️ শিশুর শরীরে র্যাশ দেখা দিয়ে থাকে। 


ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে করণীয়। ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিকার। ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় 

 ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে করণীয় ও  ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিকার নিয়ে নিওটেরিক আইটির এই পর্ব ।  ডেঙ্গু জ্বর হলে অবশ্যই সেটা প্রতিরোধ করতে হবে না হলে রোগীর পরবর্তীতে গুরুতর সমস্যা হতে পারে। যেহেতু ডেঙ্গু একটি মশা বাহিত রোগ তাই সর্বপ্রথম মশার কামড়ের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে হবে। বাড়ির চারপাশে যে সকল স্থানে জমা পানি রয়েছে সেগুলো পরিষ্কার করতে হবে। কেননা জমা পানিতে ডেঙ্গু মশা বংশবিস্তার করে থাকে। 


তাছাড়া গাছের টব, ফুলদানি, পরে থাকা গাড়ির টায়ারে জমে থাকা পানি ফেলে দিতে হবে।ডেঙ্গু ভাইরাস বহনকারী মশা সাধারণত ভোর থেকে সন্ধ্যার দিকে সব থেকে বেশি সংক্রিয় থাকে তাই এই সময়টাতে সচেতন থাকতে হবে। রাতে শোয়ার আগে মশারি টাঙানো যেতে পারে তাহলে ডেঙ্গু মশার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।


তাছাড়া মশা নিরোধক কেমিক্যাল ব্যবহার করা যেতে পারে এবং সবাইকে সচেতন করে পেতে হবে। এই সকল সতর্কতা অবলম্বন করার পরও যদি ডেঙ্গু জ্বর এসে থাকে তাহলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করে ডেঙ্গু জ্বর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।


ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে 

অনেক রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন কিন্তু তারা জানেন না ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থেকে থাকে। অনেক চিকিৎসকের মতে ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বর ও হেমোরজিক ডেঙ্গু জ্বর। ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়। হেমোরজিক ডেঙ্গু জ্বর ভালো হতে সর্বোচ্চ ১০ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। 


ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে

ডেঙ্গু জ্বর হলে ডাক্তার রোগীকে সব ধরনের নরম খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ডেঙ্গু জ্বরের সময় বেশিরভাগ মানুষেরই অরুচি থাকে এবং এই সময় বিপাক বৃদ্ধির কারণে ক্যালোরি ও পুষ্টির চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। ডেঙ্গু জ্বর হলে রোগীর খাবার তালিকা কেমন হতে পারে তা নিম্নে তুলে ধরা হলো:-


রোগীকে তরল খাবার খেতে দিতে হবে: পানি আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। পানির ওপর নাম জীবন। ডেঙ্গু জ্বর হওয়া কালীন সময়ে বা যারা ডেঙ্গু জ্বর থেকে সেরে উঠছেন তাদের সারাদিন তিন লিটার তরল নিশ্চিত করতে হবে।তাছাড়া এই সময়ে তাজাফলের শরবত,মুরগি বা সবজির স্যুপ খাওয়া যেতে পারে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা পরপর। এটা পানি শূন্যতা রোধ করতে সাহায্য করে থাকে। 

নরম কিছু খাবার খেতে দিতে হবে: তরল খাবারে পুষ্টি উপাদান ও ক্যালোরির পরিমাণ অনেক কম থাকে। তাই তরল খাবারের পাশাপাশি রোগীকে নরম খাবার খেতে দিতে হবে। অর্থাৎ যে খাবারগুলো খুব সহজে হজম হয়ে থাকে। যেমন সুজি, জাউ ভাত, নরম কাটা ছাড়া মাছ। তবে এই সময়টাতে রোগী অরুচির কারণে বেশি কিছু খেতে পারেন না।তাই অবশ্যই এমনভাবে খাবার নির্বাচন করতে হবে যাতে ক্যালরির চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে। তাই এক্ষেত্রে মুগ ডালের খিচুড়ি,ফিরনি, পায়েস, দই, মিষ্টি, এই সমস্ত খাবার খাওয়া যেতে পারে। 


প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে: ডেঙ্গু জ্বর হলে আমাদের শরীরের প্রোটিনের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। কেননা এই সময়টাতে শরীরের ক্ষয় পূরণ ও তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য প্রোটিন খুবই অপরিহার্য একটি উপাদান। দুধ, ডিম, মাছ, মুরগি, চর্বিহীন লালমাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। তাই এই সময়টাতে এই খাবারগুলো খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। 


আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে: ডেঙ্গু জ্বরের সময় প্লাটিলেটের সংখ্যা ও হিমোগ্লোবিন অনেক কমে যায়। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে ও প্লাটিলেট তৈরি করতে প্রচুর পরিমাণে আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। তাই এক্ষেত্রে কলিজা, ডিম, ডালিম , মিষ্টি কুমড়ার বিচি, খেজুর, কিসমিস,  জলপাই, সবুজ শাকসবজি খেতে হবে। কেননা এই খাবারগুলো হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। 



ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে। dengue fever 

ডেঙ্গু জ্বর (dengue fever) হলে কতদিন থাকে বা ডেঙ্গু জ্বরের সময়কাল সম্পর্কে অনেক রোগীর সঠিক জ্ঞান নেই। ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে নিরাময় হয়ে যায়। কারো যদি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে Ns1 পজিটিভ এসে থাকে তাহলে লক্ষণ দেখা দেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই জ্বর ভালো হয়ে যায়। তবে অবশ্যই এই সময়ে রোগীকে সঠিক চিকিৎসা দিতে হবে। 


ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর কত সময় পর জ্বর হয়

অনেকেই এই বিষয়ে জানেন না যে ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর কত সময় পর জ্বর হয়ে থাকে। সাধারণত ডেঙ্গু ভাইরাসবাহী এডিস মশা কামড়ানোর পর ৩ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে হঠাৎ করে একদিন কাকুনি দিয়ে জ্বর এসে থাকে। এক্ষেত্রে রোগীর শরীরে তাপমাত্রা ১০২ ডিগ্রি থেকে ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত চলে যেতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলো সাধারণত দুই থেকে সাত দিনের মত স্থায়ী হয়ে থাকে। 


ডেঙ্গু জ্বর কি ছোঁয়াচে রোগ

ডেঙ্গু জ্বর কোন ছোঁয়াচে রোগ নয়। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে একই রুমে থাকলে, তাকে স্পর্শ করলে, তার কোন জিনিস ব্যবহার করলে ডেঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। ডেঙ্গু জ্বর শুধু মাত্র মশার কারণে হয়ে থাকে তাই ডেঙ্গু জ্বর কে কোনভাবেই ছোঁয়াচে রোগ ভাবা ঠিক নয়। 


ডেঙ্গু জ্বর হলে কি গোসল করা যাবে

ডেঙ্গু জ্বর হলে অনেকের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর এসে থাকে।যার কারণে অনেকেই ডেঙ্গু জ্বর হলে গোসল করা যাবে কিনা এই নিয়ে প্রশ্ন করে থাকেন।ডেঙ্গু জ্বর হলে গোসল করা যেতে পারে এতে কোন সমস্যা নেই। তবে রোগীকে কখনোই অনেক বেশিক্ষণ ধরে ঠান্ডা পানিতে গোসল করানো উচিত নয়। শিশুদের ক্ষেত্রে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে গোসল করাতে হবে কেননা অনেক বেশি সময় ধরে গোসল করালে শরীরের তাপমাত্রা কমে যেতে পারে। 

1. ডেঙ্গু কী?


ডেঙ্গু হল একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এটি একটি গুরুতর রোগ হতে পারে, তবে বেশিরভাগ লোকের জন্য এটি একটি হালকা অসুস্থতা।


2. ডেঙ্গুর লক্ষণ কী কী?

ডেঙ্গুর সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • উচ্চ জ্বর (38 ডিগ্রি সেলসিয়াস বা 100 ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি)
  • মাথাব্যথা
  • শরীরে ব্যথা
  • বমি বমি ভাব বা বমি
  • ফুসকুড়ি

3. ডেঙ্গু কেমন করে হয়?

ডেঙ্গু একটি ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট হয় যা এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এই মশাগুলি সাধারণত দিনের বেলায় কামড়ায়।


4. ডেঙ্গু কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়?

ডেঙ্গু প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায় হল এডিস মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষা করা। এটি করার জন্য আপনি নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নিতে পারেন:

পোকামাকড় প্রতিরোধক ব্যবহার করুন

লম্বা-হাতা শার্ট এবং লম্বা প্যান্ট পরুন

মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য আপনার বাড়ির চারপাশের এলাকা পরিষ্কার রাখুন

5. ডেঙ্গু কি পরীক্ষা করা যায়?

ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য রক্ত ​​পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষাগুলি ভাইরাসের উপস্থিতি সনাক্ত করতে পারে।

6. ডেঙ্গুর চিকিৎসা কী?

ডেঙ্গুর জন্য কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। চিকিৎসার লক্ষ্য হল লক্ষণগুলির উপশম করা এবং জটিলতাগুলি প্রতিরোধ করা।


7. ডেঙ্গু কি গুরুতর হতে পারে?

ডেঙ্গু গুরুতর হতে পারে, বিশেষ করে শিশুদের, বয়স্কদের এবং অন্যদের মধ্যে যাদের অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে। গুরুতর ডেঙ্গুর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

তীব্র পেটে ব্যথা

গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রক্তপাত

গুরুতর শ্বাসকষ্ট

রক্তপাতের সমস্যা

8. ডেঙ্গু কি সংক্রামক?

ডেঙ্গু একটি সংক্রামক রোগ। একজন ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে এটি ছড়ায়।

9. ডেঙ্গু থেকে কে ঝুঁকিতে থাকে?

ডেঙ্গু যে কেউ হতে পারে, তবে নিম্নলিখিত লোকেরা বেশি ঝুঁকিতে থাকে:

  1. যারা এডিস মশার কামড়ের ঝুঁকিতে থাকে
  2. শিশু এবং বয়স্করা
  3. যাদের অন্য স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে

10. ডেঙ্গুর জন্য কী কী ওষুধ পাওয়া যায়?

ডেঙ্গুর জন্য কোন নির্দিষ্ট ওষুধ নেই। তবে, কিছু ওষুধ লক্ষণগুলির উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।

11. ডেঙ্গু থেকে কি প্রতিরোধের টিকা আছে?

হ্যাঁ, ডেঙ্গুর জন্য একটি টিকা পাওয়া যায়। তবে, এই টিকাটি সকলের জন্য উপযুক্ত নয়।

12. ডেঙ্গু থেকে কি সেরে উঠতে পারা যায়?

হ্যাঁ, ডেঙ্গু থেকে সেরে উঠতে পারা যায়। বেশিরভাগ লোকের জন্য, ডেঙ্গু একটি হালকা অসুস্থতা যা কয়েক দিনের মধ্যে সেরে যায়।

13. ডেঙ্গু থেকে সেরে উঠতে কত সময় লাগে?

বেশিরভাগ লোকের জন্য, ডেঙ্গু থেকে সেরে উঠতে কয়েক দিন থেকে এক সপ্তাহ সময় লাগে।


শেষ কথা

ইতিমধ্যে পোস্টটি যারা পড়েছেন তারা ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার ও ডেঙ্গু জ্বর হলে কি করা উচিত এই বিষয়ে মোটামুটি ধারণা পেয়েছেন। তাই ডেঙ্গু জ্বর থেকে দূরে থাকতে আমাদেরকে অবশ্যই সফলতা অবলম্বন করতে হবে এবং ডেঙ্গু জ্বর হলে সঠিক চিকিৎসা নেওয়ার মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া চেষ্টা করতে হবে। ধন্যবাদ। 


ডেঙ্গু জ্বর হল একটি মশাবাহিত রোগ যা ডেঙ্গু ভাইরাসের কারণে হয়। এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায়। ডেঙ্গু জ্বর একটি গুরুতর রোগ হতে পারে, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে।


ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ


ডেঙ্গু জ্বরের প্রাথমিক লক্ষণগুলো হল:


উচ্চ জ্বর (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি)

মাথাব্যথা

চোখের পিছনে ব্যথা

মাংসপেশী ও হাড়ে ব্যথা

বমি বমি ভাব বা বমি

সর্দি-কাশি

ত্বকের লালচে দাগ

ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত দুই থেকে সাত দিন স্থায়ী হয়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি সময় ধরে থাকতে পারে।


ডেঙ্গু জ্বরের জটিলতা


ডেঙ্গু জ্বরের কিছু জটিলতা হল:


ডেঙ্গু শক সিনড্রোম (DSS): এটি একটি গুরুতর জটিলতা যা রক্তচাপ হ্রাস, অঙ্গ ব্যর্থতা এবং মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার (DHF): এটি একটি আরও গুরুতর জটিলতা যা রক্তপাত, রক্ত জমাট বাধা এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তপাতের কারণে হতে পারে।

ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিকার


ডেঙ্গু জ্বরের কোনো নির্দিষ্ট প্রতিকার নেই। তবে, কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই রোগের ঝুঁকি কমানো যেতে পারে। যেমন:


এডিস মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়া: এডিস মশা দিনের বেলায় কামড়ায়। তাই, দিনের বেলায় বাইরে বের হলে দীর্ঘ হাতা-প্যান্ট, টুপি ও সানগ্লাস পরা উচিত।

বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা: এডিস মশার লার্ভা জমে থাকা পানিতে জন্মায়। তাই, বাড়ির চারপাশের জলাশয় শুকিয়ে ফেলা উচিত।

মশা প্রতিরোধক ব্যবহার করা: মশা প্রতিরোধক স্প্রে, লোশন বা কয়েল ব্যবহার করে মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা


ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসায় সাধারণত বিশ্রাম, প্রচুর তরল পান এবং ব্যথানাশক ওষুধ দেওয়া হয়। তবে, জটিল ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।


ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি। সবাইকে এই রোগের লক্ষণ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে জানতে হবে এবং এডিস মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।


tags:ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ,ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা,ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা,ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার,ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিকার,ডেঙ্গু জ্বর,ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার,ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ,ডেঙ্গু জ্বর ও প্রতিকার,ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি লক্ষণ ও প্রতিকার,ডেঙ্গু জ্বরের এর লক্ষন ও প্রতিকার,ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি লক্ষণ ও প্রতিকার চিকিৎসা,ডেঙ্গু,ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার,ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও করণীয়,ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা ও লক্ষণ,বাচ্চার ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ

সাম্প্রতিক পোস্ট সমূহ

বমির ট্যাবলেট এর নাম | গর্ভাবস্থায় বমির ট্যাবলেট এর নাম | বমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম - bomir tablet মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল | দ্রুত বিয়ে ও উত্তম জীবনসঙ্গী পাওয়ার আমল - druto biye howar amol ওয়েবসাইটে ভিজিটর ধরে রাখার উপায় ২০২৩ - increase website visitors বিধবা ভাতা আবেদন ফরম 2023 অনলাইন - bidhaba bhata চকলেটের পিক ডাউনলোড | লাভ চকলেট পিক | বিভিন্ন চকলেটের ছবি - chocolate picture হাত কাটা পিক, ছবি, পিকচার ডাউনলোড | হাত কাটা পিক রক্ত ছাড়া - hat kata pic download সেরা বিদেশি মেয়েদের সাথে কথা বলার অ্যাপস | বিদেশিদের সাথে যোগাযোগ - random video calling app রংধনুর ছবি ও পিকচার | রংধনুর রহস্য | রংধনুর সাত রং এর নাম - rongdhonu background ইলিশ মাছের ছবি ডাউনলোড | ইলিশ মাছ চেনার উপায় | ইলিশ মাছের দাম ২০২৩ - elish mas বিড়ি খাওয়া স্ট্যাটাস | নিকোটিনের স্ট্যাটাস | সিগারেট নিয়ে প্রেমের কবিতা - cigarette status
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url