অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর - oporichita mcq

 প্রিয় বন্ধুরা আপনারা যারা অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর  খুজতেছেন তাদের জন্য এই আর্টিকেল । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "অপরিচিতা" গল্পটি একটি সামাজিক উপন্যাস। এই গল্পে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তৎকালীন সমাজের কুসংস্কার ও অনাচারগুলোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র কল্যাণী একজন শিক্ষিত ও স্বাধীনচেতা নারী। সে বিয়ের আগেই তার প্রেমিক অনুপমের সাথে পরিচিত হয় এবং তাদের মধ্যে গভীর ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু কল্যাণীর বাবা-মা অনুপমের সাথে বিয়ে দিতে অস্বীকার করে। তারা কল্যাণীকে জোরপূর্বক একজন ধনী ব্যক্তির সাথে বিয়ে দেয়।

অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর - oporichita mcq - NeotericIT.com


অপরিচিতা গল্পের উপর ভিত্তি করে অনেক ধরনের সৃজনশীল প্রশ্ন করা যেতে পারে। এখানে কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হল:

  • কল্যাণীর বিয়ে ভেঙে যাওয়ার কারণ কী?
  • কল্যাণীর বাবা-মা কেন অনুপমের সাথে বিয়ে দিতে অস্বীকার করেছিল?
  • অপরিচিতা গল্পের মূল শিক্ষা কী?
  • কল্যাণীর চরিত্রের গুণাবলী কী কী?
  • অপরিচিতা গল্পের সমাজে কী ধরনের পরিবর্তন ঘটাতে চায়?

এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার জন্য গল্পের বিভিন্ন অংশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। এর পাশাপাশি গল্পের মূল বিষয়বস্তু এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।


কল্যাণীর বিয়ে ভেঙে যাওয়ার কারণ

কল্যাণীর বিয়ে ভেঙে যাওয়ার মূল কারণ হল তার বাবা-মায়ের অন্ধ কুসংস্কার। তারা মনে করত যে কল্যাণীর বয়স বেশি হয়ে গেছে এবং তার বিয়ে করা উচিত। তারা অনুপমের সাথে কল্যাণীর সম্পর্ককে মেনে নিতে পারছিল না। এছাড়াও, তারা অনুপমের পরিবারের সামাজিক মর্যাদা নিয়ে সন্তুষ্ট ছিল না।


কল্যাণীর বাবা-মা কেন অনুপমের সাথে বিয়ে দিতে অস্বীকার করেছিল?

কল্যাণীর বাবা-মা অনুপমের সাথে বিয়ে দিতে অস্বীকার করেছিল কারণ তারা মনে করত যে অনুপম তাদের পরিবারের জন্য উপযুক্ত নয়। তারা অনুপমের পরিবারের সামাজিক মর্যাদা নিয়ে সন্তুষ্ট ছিল না। এছাড়াও, তারা অনুপমকে একজন অযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে মনে করত।


অপরিচিতা গল্পের মূল শিক্ষা

অপরিচিতা গল্পের মূল শিক্ষা হল যে নারীরা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তারা তাদের নিজের জীবনের জন্য নিজেদের দায়ী। এছাড়াও, এই গল্পটি আমাদেরকে কুসংস্কার ও অনাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে শেখায়।


কল্যাণীর চরিত্রের গুণাবলী

কল্যাণী একজন শিক্ষিত ও স্বাধীনচেতা নারী। সে তার নিজের সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং তার নিজের জীবনের জন্য নিজে দায়ী। সে একজন ভালো মানুষ এবং সে অন্যদের সাহায্য করতে চায়।


অপরিচিতা গল্পের সমাজে কী ধরনের পরিবর্তন ঘটাতে চায়?

অপরিচিতা গল্পটি তৎকালীন সমাজের কুসংস্কার ও অনাচারগুলোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। এটি নারীদের অধিকারের পক্ষে কথা বলেছে। এই গল্পটি আমাদেরকে একটি উন্নত ও সুন্দর সমাজ গড়তে উৎসাহিত করে।

উপরের প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি, শিক্ষার্থীরা এই গল্পের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের সৃজনশীল রচনাও লিখতে পারে। যেমন:

কল্যাণীর চরিত্রের উপর একটি প্রবন্ধ

অপরিচিতা গল্পের মূল বিষয়বস্তু নিয়ে একটি আলোচনা

অপরিচিতা গল্পের উপর ভিত্তি করে একটি নাটক বা চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য

এই ধরনের সৃজনশীল রচনা শিক্ষার্থীদেরকে গল্পের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করতে সাহায্য করে। এটি তাদেরকে একজন সৃজনশীল চিন্তাবিদ হিসেবে গড়ে ওঠতে সাহায্য করে।



প্রশ্ন ১: অনুপমের চরিত্রটিকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?


উত্তর: অনুপমের চরিত্রটি একটি জটিল চরিত্র। তিনি একজন সুদর্শন, শিক্ষিত, এবং মেধাবী যুবক। কিন্তু তিনি একজন ব্যক্তিত্বহীন এবং সিদ্ধান্তহীন মানুষ। তিনি কল্যাণীর প্রেমে পড়লেও তার পিতার কথায় বিয়ে করতে রাজি হন। কিন্তু পরে কল্যাণীর সাথে দেখা করে তিনি বুঝতে পারেন যে তিনি কল্যাণীকেই ভালোবাসেন। কিন্তু তখনও তিনি তার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তিনি কল্যাণীকে বিয়ে করতে চান কিন্তু তার পিতার কথাও রাখতে চান। শেষ পর্যন্ত তিনি কল্যাণীর সাথে বিয়ে করতে পারেন না।


প্রশ্ন ২: কল্যাণীর চরিত্রটিকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?


উত্তর: কল্যাণীর চরিত্রটি একটি শক্তিশালী এবং আত্মনির্ভরশীল চরিত্র। তিনি একজন শিক্ষিত এবং মেধাবী নারী। তিনি তার পরিবারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে অনুপমের সাথে বিয়ে করতে চান। কিন্তু পরে অনুপমের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে তিনি বিয়ে করতে রাজি হন না। বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পরও তিনি ভেঙে পড়েন না। তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কাজ করেন। এবং অবশেষে তিনি একজন সফল নারী হন।


প্রশ্ন ৩: গল্পের শিরোনাম "অপরিচিতা" কেন দেওয়া হয়েছে?


উত্তর: গল্পের শিরোনাম "অপরিচিতা" দেওয়া হয়েছে কারণ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র কল্যাণী একজন অপরিচিতা। তিনি অনুপমের পরিবারের কাছে অপরিচিত। তিনি অনুপমের কাছেও অপরিচিত। অনুপম কল্যাণীকে ভালোবাসেন কিন্তু তিনি কল্যাণীকে সত্যিকার অর্থে জানেন না। কল্যাণীও অনুপমকে ভালোবাসেন কিন্তু তিনি অনুপমকে সত্যিকার অর্থে জানেন না। তাই গল্পের শিরোনাম "অপরিচিতা" দেওয়া হয়েছে।


প্রশ্ন ৪: গল্পের মাধ্যমে কী বিষয়গুলি তুলে ধরা হয়েছে?


উত্তর: গল্পের মাধ্যমে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি তুলে ধরা হয়েছে:


ব্যক্তিত্বহীনতা এবং সিদ্ধান্তহীনতার কুফল

পুরুষতন্ত্রের অমানবিকতা

নারীর আত্মনির্ভরতা এবং ক্ষমতায়ন

প্রশ্ন ৫: গল্পের শেষে কল্যাণীর ভবিষ্যৎ কী হবে বলে আপনি মনে করেন?


উত্তর: গল্পের শেষে কল্যাণী একজন সফল নারী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। তিনি একজন শিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন এবং নারীদের অধিকারের জন্য কাজ করছেন। আমি মনে করি কল্যাণী একজন সফল নারী হিসেবেই তার জীবন কাটাবেন।


প্রশ্ন ৬: গল্পের সাথে আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার মিল কোথায়?


উত্তর: গল্পের সাথে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার মিল হলো আমিও একজন ব্যক্তিত্বহীন এবং সিদ্ধান্তহীন মানুষ। আমি অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারিনা। গল্পের মাধ্যমে আমি অনুপমের চরিত্রে নিজেকে দেখেছি। এবং আমি অনুপমের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছি।


প্রশ্ন ৭: গল্পের কোন দিকটি আপনার সবচেয়ে ভালো লেগেছে?


উত্তর: গল্পের সবচেয়ে ভালো লেগেছে কল্যাণীর চরিত্র। কল্যাণী একজন শক্তিশালী এবং আত্মনির্ভরশীল নারী। তিনি তার জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্ত নিজে নেন। তিনি পুরুষতন্ত্রের অমানবিকতাকে প্রতিরোধ করেন।


প্রশ্ন ৮: গল্পের কোন দিকটি আপনার সবচেয়ে খারাপ লেগেছে?


উত্তর: গল্পের সবচেয়ে খারাপ লেগেছে অনুপমের চরিত্র। অনুপম একজন ব্যক্তিত্বহীন এবং সিদ্ধান্তহীন মানুষ। তিনি কল্যাণীর প্রেমে পড়লেও তার পিতার কথায় বিয়ে করতে রাজি হন। এবং পরে কল্যাণীর সাথে দেখা করে তিনি বুঝতে পারেন যে তিনি কল্যাণীকেই ভালোবাসেন। কিন্তু তখনও তিনি তার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।

সাম্প্রতিক পোস্ট সমূহ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url