পাতলা পায়খানা বন্ধ করার উপায় | পাতলা পায়খানার ট্যাবলেট এর নাম | পেট ব্যথা ও পাতলা পায়খানার ঔষধ

 রোগ ছাড়া মানুষ নেই। রোগমুক্ত থাকা সম্ভব না হলেও রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আমাদের সবারই থাকে। রোগ প্রতিরোধ করতে হলে ঔষধ সেবন করতে হবে বা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। আমাদের যেমন ডায়েরিয়া পাতলা পায়খানার সমস্যা হয়ে থাকে তেমনই গরু-ছাগলেরও এমন অস্বাভাবিক পায়খানার সমস্যা দেখা দিতে পারে। গরু-ছাগলের এই পাতলা পায়খানা রোগের জন্য আমাদের খামারি ভাইরা ভোগান্তিতে পরেন। তারা বুঝতেও পারেন না কি করতে হবে বা কি ঔষধ দিয়ে তাদের গোয়ালের গরু-ছাগলের পাতলা পায়খানার সমস্যা রোধ করতে হবে। আজকের এই আর্টিকেলে এ পাতলা পায়খানা প্রতিরোধের উপায় সমূহ নিয়ে আলোচনা করা হবে। এতে আমরা ও আমাদের গৃহপালিত পশুরা পাতলা পায়খানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে ও সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে। 

পাতলা পায়খানা বন্ধ করার উপায় - পাতলা পায়খানার ট্যাবলেট এর নাম - পেট ব্যথা ও পাতলা পায়খানার ঔষধ - NeotericIT.com


পাতলা পায়খানা বন্ধ করার উপায় - পাতলা পায়খানার ট্যাবলেট এর নাম - পেট ব্যথা ও পাতলা পায়খানার ঔষধ - NeotericIT.com

পাতলা পায়খানা বন্ধ করার উপায়

আপনার কি পাতলা পায়খানার সমস্যা দেখা দিচ্ছে? বা পাতলা পায়খানা শুরু হয়েছে? পাতলা পায়খানা বন্ধ করার উপায় খুঁজছেন? আসুন জেনে নেই কিভাবে পাতলা পায়খানা বন্ধ করতে হয়। এ জন্য কিছু বিষয় আপনার মাথায় রাখা জরুরি। পাতলা পায়খানা এমন একটি সমস্যা যার মাধ্যমে আমাদের পানিশূন্যতা দেখা দেয় কারণ পাতলা পায়খানার কারণে অনেক পানি আমাদের শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। একই সাথে লবণ তথা সেডিয়ামও চলে যায় পাতলা পায়খানার সাথে। এজন্য পানি পান করতে হবে বেশি বেশি এবং লবণ শূন্যতা কমাতে, খেতে হবে খাবার স্যালাইন। 

খাবার স্যালাইন ও পানি পান করতে হবে। পানি পান করার কারণে শরীর ডিহাইড্রেট হবে না। 

কিছু নির্দেশনা মেনে চলুন,, 

পানি খাওয়া বাড়িয়ে দিন। পাতলা পায়খানা রোধ করতে ৯ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করুন। 

স্যুপ বা ফ্রুটজোস, শরবত পান করা যেতে পারে। 

পানিতে ইলেক্ট্রোলাইট পাউডার মিশিয়ে নিন। এই পানীয় পান করুন, এটি পাতলা পায়খানা সমস্যা ও পেট ব্যথার উপশমে কাজে দিবে। 

চাইলে ডাবের পানি পান করা যাতে পারে। এতেও শরীর ডিহাইড্রেট হবে না বরং হাইড্রেট হবে। 

নিয়মিত খাবার স্যালাইন পান করতে হবে। প্রতিবার পাতলা পায়খানার পরে খাবার স্যালাইন খাওয়া জরুরি এতে পানি ও লবণ দুটি সমস্যাই সমাধান হয় এবং পাতলা পায়খানা বন্ধ হয়ে যায়।

বেশি সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে। 

এই নির্দেশনা গুলি অনুসরণ করুন। বেশি বেশি তরল ও খাবার স্যালাইন খাওয়া হলে পাতলা পায়খানা দ্রুত বন্ধ হয়ে যাবে। এছাড়াও আরও অনেক ধরনের ঘরোয়া পদ্ধতি ও কার্যকরী খাদ্য ও পানীয় রয়েছে যা খেলে পাতলা পায়খানা থেকে মুক্তি মেলবে। নিচে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। 

কি খেলে পাতলা পায়খানা বন্ধ হয়

অনেক কারণেই আমরা দেখি আমাদের পেটে গন্ডগোল হয় ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। বেশি পরিমাণ খাওয়া, বদহজম, গ্যাসের সমস্যা, পেট খারাপ এসব সহ আরও অনেক কারণে পাতলা পায়খানা হতে পারে। 

পাতলা পায়খানার সমস্যা বন্ধ করার অনেক উপায় আছে তার মধ্যে আছে অনেক ঘরোয়া উপায়। যদি বিষয়টা বেশি সমস্যা জনিত না হয়ে থাকে তাহলে আমরা চাইলেই বাসায় নিজেরাই এই ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করে পাতলা পায়খানার সমস্যা রোধ করতে পারব। 

আসুন কয়েকটি ঘরোয়া উপায় জেনে নেই।

সরিষার বীজ দিয়ে পাতলা পায়খানা প্রতিরোধ

আপনি কি জানেন সরিষার বীজে এন্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদানসমূহ পাওয়া যায়। যে উপাদান পাতলা পায়খানা বন্ধের জন্য অনেক কার্যকরী। তাই সরিষার বীজ হতেপারে পাতলা পায়খানা প্রতিরোধ করার একটি ঘরোয়া উপায়। 


যেভাবে ব্যবহার করবেন,,, 

প্রথমে এক চামচ পানি নিন সেখানে সরিষার বীজ মিশিয়ে দিন ১/৪ চা চামচের মত। সেটি সেভাবে রেখে দিন এক ঘন্টা যাবৎ।

এক ঘণ্টা পর এই পানি পান করে নিন এবং নিয়মিত পান করুন। 

দিনে ২ থেকে ৩ বার যদি পান করা হয় তাহলে পাতলা পায়খানা থেকে মুক্তি পাবেন খুব সহজেই। 

লেবু পানি দিয়ে পাতলা পায়খানা প্রতিরোধ

লেবু আর লেবু পানি বা লেবুর শরবত যাই বলুন না কেন, সেটি কিন্তু আমাদের খুবই ভালো লাগে। গরমে লেবু পানি খেতে আমাদের খুব ভালো লাগে আর এই লেবু পানির গুনাগুন তো আছেই সাথে এটি পাতলা পায়খানা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। কারণ লেবুর রসে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেট কে করে পরিস্কার। আর যুগ যুগ ধরে এই পদ্ধতি অনুসরণ করে পাতলা পায়খানা প্রতিরোধ করা হয়েছে।

যেভাবে ব্যবহার করবেন,, 

প্রথম একটি আস্ত লেবু নিন এবং তা থেকে রস বের করুন। এতে ১ চা চামচ লবণ ও ১ চা চামচ চিনি দিন। একসাথে মিশ্রণ করুন। 


এরপর প্রতি ঘন্টায় এই লেবু পানি বা শরবত টি পান করুন। এটি ততক্ষণ ধরে পান করবেন যতক্ষণ যাবৎ পাতলা পায়খানা না থামে। 


যদি চান পেট পরিষ্কার হোক তাহলে ৩ দিন যাবৎ এই শরবত পান করুন। যা পাতলা পায়খানা সমস্যা প্রতিরোধে ভালো ফলাফল দিবে। 


স্যুপ খেতে পারেন নিয়মিত। স্কুল-কলেজ বা কর্মস্থল থেকে ফিরে এসে স্যুপ খাওয়া যেতে পারে। 

ডালিম দিয়ে পাতলা পায়খানা প্রতিরোধ

ডালিম বা বেদানা, এটি অতি পরিচিত ও পছন্দনীয় একটি ফল। ডালিমে আছে অনেক ধরনের পুষ্টিগুণ ভিটামিন যা পাতলা পায়খানাকে প্রতিরোধ করতে ও কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। 

আমাদের পাতলা পায়খানা সমস্যা দিলে ডালিমের দানা/বীজ খেতে হবে এতে এ সমস্যা দূর হবে। দিনে ২ টি ফল খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। কারণ ঘরোয়া ভাবে পাতলা পায়খানা প্রতিরোধ করার জন্য এটিও একটি অন্যতম উপায়। 

বাসায় ব্লেন্ডার থাকলে সেখানে ডালিমের দানা ব্লেন্ড করে ডালিম জুস বানিয়ে পান করুন। এটা খুবই কার্যকরী হবে, এটি দিনে ৩ বার পান করলে ভালো ফলাফল আসবে। 

আর যদি ডালিম না থাকে তাহলে চাইলেই ডালিমের পাতা ফুটিয়ে ভিজিয়ে রাখা পানি খেয়ে নিতে পারেন। 

মেথি, মেথি বীজ দিয়ে পাতলা পায়খানা প্রতিরোধ

মেথি খুব গুনাগুন সম্মত। এটি অনেক উপকার করে কারণ এতে আছে এন্টিফাঙ্গাল এবং এন্টিব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্যসমূহ। যা পাতলা পায়খানা প্রতিরোধ করতে লড়াই করবে। আর সহজেই দূর করবে পাতলা পায়খানা সমস্যা। 

এক গ্লাস পানি নিন। তারপর ১ থেকে ২ চা চামচ শুকিয়ে যাওয়া মেথি বীজগুলোকে ভালোভাবে গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিন। এতে আমাদের পাতলা পায়খানা সমস্যা রোধ হবে এবং এ থেকে রেহাই পাব। 


মধু দিয়ে পাতলা পায়খানা প্রতিরোধ


আমরা সকলেই জানি মধুর পুষ্টিগুণের কোন অভাব নেই। মধুর উপকারীতা বলে শেষ করার মত নয়। মধু যে একটি প্রাকৃতিক ঔষধ এবং এটি সাস্থ্যের অনেক অনেক উপকারে আসে ও রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে তাতে কোন সন্দেহ নেই। আসুন জেনে নেই কিভাবে মধু নিয়ে পাতলা পায়খানা বন্ধ করতে হবে।

প্রথমে ১ চা চামচ মধু নিন। ফ্রেশ ও খাঁটি মধু নিয়ে নিন। আর যদি হয় জৈব মধু তাহলে আরও ভালো হয়। 


তারপর এক গ্লাস গরম/উষ্ণ পানি নিন। সেখানে ১/২ এক চা চামচ দারুচিনির গুঁড়ো ও মধু মিশ্রণ করুন ভালোভাবে। এই পানি টি পান করার চেষ্টা করবেব একদম ভোর সকালে খালি পেটে। পাতলা পায়খানা যখন সমস্যা তখন তা প্রতিরোধ করতে একবার নয় বরং দিনে ২ বার করে পান করতে হবে এতেই এই সমস্যা নির্মুল হবে। 

সাবু দিয়ে পাতলা পায়খানা প্রতিরোধ

সাবু বড় ছোট সবারই প্রিয় একটি খাবার। রোগিদের জন্য অনেকে সাবুকে প্রেফার করে। কারণ এটি সফ্ট ও তরল জাতীয় ও সহজে হজম হয়ে থাকে আর খেতেও সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর। এটি যেমন হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় তেমনই পাতলা পায়খানা রোধ করতে সাহায্য করে। 

প্রথমে সাবু দানাগুলো একটি পাত্রে পানির মধ্যে ৩ ঘন্টা যাবৎ ডুবিয়ে রেখে দিন। 

সঠিক পরিমাণে পানি দিতে হবে কারণ সাবু পানি শোষণ করে অনেক। তাই সেই পরিমাণে পানি দিতে হবে। 

যদি পাতলা পায়খানা বা পেটের পীড়া ভোগান্তিতে ফেলে তাহলে অবশ্যই এই সাবু পানি পান করতে হবে। 

যদি সাবু পানি পান করে ভালো ফলাফল দেখতে চান তাহলে এই পানীয় টি দিনে কয়েকবার পান করুন। 


স্বাস্থ্যসম্মত পানীয় দিয়ে পাতলা পায়খানা প্রতিরোধ

আপনি কি ভাবছেন যে কিভাবে একটি তরল ও স্বাস্থ্যসম্মত পানীয় তৈরি করতে হয়। যে পানীয় পাতলা পায়খানা থেকে আমাদের মুক্তি দিতে সক্ষম তাহলে আসুন জেনে নেই সেই ঘরোয়া ফর্মুলা টি। 

প্রথমেই নিতে হবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। হলুদের গুঁড়ো, কারি পাতা ও লবণ। একটি পাত্রে পানি নিয়ে এই সকল উপাদান পানিতে মিশিয়ে নিন। এটি নিয়মিত পান করুন। 

আর যদি চান আরেকটু ভিন্ন আঙ্গিকে একটি স্বাস্থ্যসম্মত পানীয় তৈরি করবেন তাহলে অন্যরকম কাজ করা যেতে পারে। কিছু উপাদান যোগ করুন যেমন দই নিতে পারেন কারণ দইয়ে থাকা এন্টিব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্য থাকে আর হলুদে যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে তা অতুলনীয়। আর কারি পাতাও এতে যোগ করতে পারেন কারণ এটিও স্বাস্থ্যসম্মত ও স্বাস্থ্যকর। 

প্রথমে ২ টেবিল চামচ দই নিন। এতে হলুদ মিশিয়ে নিন ১/৪ চা চামচ। সাথে এক চিমটি হিং ও কারি পাতা আর লবণ দিয়ে গরম ফুটন্ত পানিতে সেদ্ধ করুন। 

পানি টিকে খুব ভালোভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে। ফুটানো শেষ হলে তা নামিয়ে নিন ও ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। 

এটি সেবন করুন ২ বার করে ৩ দিন পর পর। 

পাতলা পায়খানা হলে কলা, আলু, খিচুড়ি, দই, ফলের রস খাবেন এসব হজম হয় সহজে এবং সমস্যা সৃষ্টি করবে না। তবে দুধ, ভাজাপোড়া, তৈলাক্ত খাবার, চা-কফি খাওয়া যাবে না কারণ পাতলা পায়খানা চলাকালীন এসব খেলে ক্ষতি হবে, হজমেও সমস্যা হবে। তাই এসব এরিয়ে চলতে হবে আর বেশি বেশি পটাশিয়াম যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। আর তরল পানি খাবার স্যালাইন তো জরুরি ভিত্তিতে খেতেই হবে। 

বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার ট্যাবলেট এর নাম

চিকিৎসকের পরামর্শে স্যালাইন বা জিংক ট্যাবলেট খাওয়ানো যেতে পারে। জিংক ট্যাবলেট এমন একটি ঔষধ যা খুব দ্রুত ও কম সময়ে অনেকাংশে পাতলা পায়খানা কমিয়ে আনে। একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বাচ্চাকে ১০ থেকে ১৩ দিনের জন্য 20 মিলিগ্রাম করে জিংক ট্যাবলেট অথবা জিংক সিরাপ খাওয়াতে হবে।

ছাগলের পাতলা পায়খানার ট্যাবলেট এর নাম

আমাদের মতই আমাদের গৃহপালিত পশু ছাগল বা গরুর পাতলা পায়খানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা দেখা দিলে আমাদের উচিত তাদের রোগ অনুযায়ী, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেবন করানো। 

ঔষধ: টেব সালফা/Tab salfa-3 

ছাগলের ওজন: দশ কেজি

= ১/২+১/২+১/২

ঔষধ: টেব মারবো ভেট/Tab Marbo Vet

ছাগলের ওজন: দশ কেজি

= ১/২+০+১২ 

ঔষধ: টেব এমোডিস ভেট/Tab Amodis Vet

ছাগলের ওজন: দশ কেজি

= ১/৩+১/৩+১/৩

এক-দুদিন খাওয়ালেই ছাগল সুস্থ হয়ে যাবে। ছাগল বড় হোক বা ছাগল ছানা কোন সমস্যা নেই উভয়ের ক্ষেত্রেই ভালো ফলাফল দিবে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ডোজ কমপ্লিট করতে হবে। গর্ভবতী ছাগল হলেও এই চিকিৎসা ও ঔষধ দেয়া যাবে, সমস্যা নেই। 


পেট ব্যথা ও পাতলা পায়খানার ঔষধ

পেট ব্যথা অনেক কারণেই হয় যদি গ্যাসট্রিক এর জন্য হয়ে থাকে তাহলে গ্যাসট্রিক এর ক্যাপসুল বা এন্টাসিড/অ্যান্টি-স্পাসমোডিক খেতে হবে। আর পাতলা পায়খানা হলে খাবার স্যালাইন খেতে হবে। পেট ব্যথা ও পাতলা পায়খানার ঔষধ হিসেবে এসবই খাওয়া যেতে পারে অথবা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেবন করুন। 


পাতলা পায়খানার ঔষধ স্কয়ার

সাধারণত যে পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে সেটি ঘরোয়া পদ্ধতিতে ও খাবার স্যালাইন খেলেই কমে যায়। তবে পাতলা পায়খানা যদি একদম মারাত্মক পর্যায়ে চলে যায়। আবারও বলছি পাতলা পায়খানা যদি বেশি মারত্মক পর্যায়ে চলে যায় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী স্কয়ারের একটি ঔষধ ইমোটিল ক্যাপসুল সেবন করতে হবে। অতিরিক্ত পরিমাণের পাতলা পায়খানা অর্থাৎ ডায়েরিয়া হলে ইমোটিল ক্যাপসুল সাজেস্ট করা হয়। 

গরুর পাতলা পায়খানার ট্যাবলেট এর নাম

গৃহপালিত পশু গরুর পাতলা পায়খানার সমস্যা হলে আমাদেরও ভোগান্তিতে পড়তে হয়। গরুর পাতলা পায়খানার অনেক ঔষধ আছে। এসব ট্যাবলেট এর মধ্যে একটি হচ্ছে সালফাডিন ভেট। সালফাডিন ভেট খুবই ভালো ও অন্যতম একটি ঔষধ। গরু, ভেড়া, ছাগল সকল প্রাণির ক্ষেত্রে এটি প্রযোয্য। এই ঔষধ খুব সহজেই পাতলা পায়খানা ও ডায়রিয়া থেকে মুক্তি দেয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এটি সেবন করাতে পারেন। 

পেট খারাপ এর ঔষধ নাম

অখাদ্য কুখাদ্য খাওয়া ও আমাদের চালচলনের জন্য পেট খারাপ বা বদহজমের সমস্যা টি দেখা দেয়। রাতে দেরি করে খাওয়া, বেশি বেশি তেলে ভাজা খাবার খাওয়া, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া বা junk food বা অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার কারণে পেট খারাপ ও বদহজম হয়। এছাড়াও গ্যাসট্রিক, বমি বমি, পেট ফাঁপা, বুক জ্বালা-পেট জ্বালা সমস্যাও দেখা দেয়। আর পাতলা পায়খানাও হয়ে থাকে। 


এ জন্য অ্যান্টাসিড: এন্টাসিড, এন্টাসিড প্লাস ইত্যাদি। এইচ টু ব্লকার: সিমেটিডিন, নিজাটিডিন খাওয়া যেতে পারে। আর বদহজমের জন্য যদি তিব্র ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা দেখা দেয় তাহলে খাবার স্যালাইন খেতে হবে। আর এতেও না সারলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী লোপাগাট, ইমোটিল সেবন করা যাবে তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর সেবন করতে হবে। 




উপসংহার

আমাদের বা আমাদের গৃহপালিত পশুদের পাতলা পায়খানা হতে পারে। আর এই আর্টিকেলে জানানো হয়েছে কিভাবে আপনারা এই পাতলা পায়খানা সমস্যা রোধ করতে পারেন এবং কি কি খেলে বা কি কি ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করলে পাতলা পায়খানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন। যারা গরু ছাগল লালন পালন করে তাদের কাছে শেয়ার করুন। এতে তারাও সচেতন ও অনিশ্চয়তা থেকে বেঁচে থাকতে পারবে। এছাড়াও রোগের সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ ও গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অবগত হবে। এ ব্যাপারে কোন প্রশ্ন থাকলে বা কোন মত থাকলে কমেন্ট বক্সে মন্তব্য করতে পারেন। 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url