Nfc কি ও কিভাবে কাজ করে। বিস্তারিত আলোচনা


ভূমিকা


বর্তমানে সময়ে nfc কার্ড নিয়ে খুব তোলপাড় চলছে। nfc কার্ড বাংলাদেশও অনেকের কাছে নতুন বিষয়। আমরা শুধু বিজনেস কার্ড বানাতাম যা ছিলো নর্মাল। টেকনোলজির সাথে কোন সম্পর্ক ছিলো না তার। তারপর QR code সহ কার্ড এবং অবশেষে আরও উন্নত স্মার্ট কার্ড অর্থাৎ Nfc smart card চলে এলো।

nfc smart কার্ডের বিশেষত্ব হলো এই কার্ড মোবাইল/ডিভাসের কাছে আনলে কার্ডের সকল তথ্য মোবাইলে চলে আসবে। কার্ড কাউকে দেয়া ছাড়াই যাবতীয় তথ্য মোবাইলে পাঠানো সম্ভব। nfc card এ থাকা নিজেস্ব তথ্য ওয়েবসাইট ইমেল থেকে ডিটেলস যা কিছু আছে তা সবই অন্য ডিভাইসে চলে যাবে।

ইদানিং nfc smart card সবাই বানাচ্ছে। Nfc smart card ব্যবহার করলে অনেক সহজেই তথ্য সরবরাহ করা যায় তবে কার্ড বানাতে হয়তো একটু বেশি টাকা খরচ হবে। 

এটি তো শুধু nfc smart কার্ডের কথা বললাম। Nfc এর কার্যক্রম অনেক ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে গেছে। Nfc নানান সেক্টরে নানাভাবে ভূমিকা রাখছে। 

তাই আজকের আর্টিকেলে শুধু nfc এর টুকটাক বিষয় না বরং nfc নিয়ে ভালো একটি আলোচনা করবো। এর মাধ্যমে nfc সম্পর্কে পাঠকবৃন্দ ব্যাপক ধারণা লাভ করবে। 

এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাবো nfc কি কিভাবে কাজ করে, nfc এর সার্ভিস সমূহ কি কি, nfc কোন কোন সেক্টরে কাজ করে, এটি কতটুকু নিরাপদ কতটুকু ইফেক্টিভ এবং আমাদেরকে nfc কি কি সুবিধা প্রোভাইড করে ইত্যাদি। 

Nfc সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পেতে পড়তে পারেন এই আর্টিকেল। আসুন শুরু করি,,, 


Nfc কার্ড কি ও কিভাবে কাজ করে? 


আমরা অনেকেই nfc শব্দটার সাথে পরিচিত তবে nfc সম্পর্কে কেউ বেশি জানি তো কেউ কম জানি। আজকের আর্টিকেল এ ব্যাপারেই। আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে nfc কি nfc কিভাবে ও কোন কোন কাজে ব্যবহৃত হয় এর উপকার ও অপকার সহ আরও অন্যান্য বিষয়। 

ইদানীং আমরা nfc business card বা smart card সম্পর্কে জানতে পেরেছি। অনেকেই আছেন যারা nfc card থেকেই এ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়েছেন। আজকে nfc card নিয়েও কথা বলবো তবে এর আগে nfc সম্পর্কে টুকটাক জেনে নেয়া উচিত আসুন জেনে নেই। 

Nfc কি ও কিভাবে কাজ করে


এনএফসি/Nfc হচ্ছে সর্ট নেইম এর পূর্ণরুপ হচ্ছে Near Field Communication অর্থাৎ এটি অল্প দূরত্বের ২ টি ডিভাইসের মাঝে Communicate/কমিউনিকেট করতে পারে। 

এই যোগাযোগ প্রক্রিয়া ঠিকমতো স্থাপনের জন্য একটি সিগন্যাল ব্যবহার করা হয় সেটিকে বলে RF সিগন্যাল। যোগাযোগ স্থাপন সম্পূর্ণ হওয়ার জন্য একটি ট্রান্সমিটিং ডিভাইস লাগে। আর ভালোভাবে সিগন্যাল বা সংকেত পাওয়ার জন্য একটি Receiver Device ব্যবহার করতে হয়। 

Nfc বা Near Field Communication এর মূল উদ্দেশ্য বা ব্যাবহার হলো মোবাইলের চারপাশের সাথে যোগাযোগ স্থাপন। আর এটির সীমানা ৪ সেন্টিমিটার ব্যাসার্ধের সাথে কাজ করে। এটিকে বেতার সংযোগের মতোও বলা যায় কারণ এটি বেতার সংযোগ স্থাপন করে। আর nfc দিয়ে চাইলে দুমুখো যোগাযোগ করা যাবে অর্থাৎ ২ টি ডিভাইসে তথ্য আদান প্রদান করতে সক্ষম হবেন। এই Nfc আমাদের WiFi সংযোগের মতোই যেকোন টেকনোলজিতে উপলব্ধ। একই সাথে এটি ফ্রি সেবা কোন চার্জ পেমেন্ট বা 3G, LTE ব্যবহার করতে হবে না। 

Nfc/এনএফসি এর উৎপত্তি যে প্রযুক্তি থেকে হয়েছে তাকে RFID প্রযুক্তি বলে। TIFF একটি Shipping company এটি নানান পণ্য/প্রোডাক্ট ট্র্যাক করতে সহযোগীতা করে। তবে এটি স্বল্প স্থানে information পরিবহনের জন্য Electromagnetic induction ব্যবহার করে। 


RFID প্রযুক্তি থেকে NFC এর উতপত্তি হয়েছে। আরএফআইডি হল শিপিং কোম্পানি, বড় গুদাম এবং সুপারস্টোরগুলিতে পণ্য ট্র্যাক করার জন্য ব্যবহৃত একটি প্রযুক্তি। এটি একটি স্বল্প স্থানে তথ্য পরিবহনের জন্য ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ইন্ডাকশন ব্যবহার করে।

Nfc দু’ধরনের একটি Active Nfc Device অপরটি Passive Nfc Device 

আসুন এ দু ধরনের Nfc সম্পর্কে হালকা ধারণা নেই,,, 

Active Nfc অর্থাৎ সক্রিয় ডিভাইস হচ্ছে সেই সমস্ত ডিভাইস যেসব ডিভাইস Data/ডেটা আদান প্রদান করতে পারে এবং একে অপরের সাথে যোগাযোগ সম্পাদন করা যাবে। 

Active Nfc ডিভাইসটির কাজ সম্পাদন করতে power এর প্রয়োজন হয়ে থাকে। এছাড়াও তথ্য প্রক্রিয়ার শক্তি থাকে যেমন হাতে থাকা Smart mobile যা active nfc এর একটি উদাহরণ।

Passive Nfc হচ্ছে সেই সমস্ত ডিভাইস যে ডিভাইসগুলো অন্যান্য Nfc ডিভাইসে তথ্য পাঠাতে পারে। এছাড়াও তাদেরকে আলাদাভাবে Power দিতে হবে না। অর্থাৎ তাদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কোন শক্তির প্রয়োজন নেই। তবে এক্টিভ Nfc ডিভাইসের মত Passive Nfc ডিভাইস তথ্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে না। 

এছাড়াও Passive ডিভাইস অনান্য Passive ডিভাইসের সাথে যুক্ত হতে পারে না। এসব tag, small transmitter এ বেশি ব্যবহার হয়, যেসব দেয়ালে বা বিজ্ঞপণগুলিতে ইন্টারেক্টিভ sign হিসেবে ব্যবহার হয়। 

Nfc কিভাবে কাজ করে? 


আমরা উপরে nfc সম্পর্কে অনেক কিছুই জেনেছি। এখন আমরা ধারণা নিব যে কিভাবে nfc কাজ করে বা তার কার্যপদ্ধতি কেমন। 

আমাদের সচারচর ব্যবহৃত Bluetooth, WiFi ও others যেসব বেতার সংকেত আছে এটিও এমন। এনএফসিও এভাবে সংকেত তরঙ্গের মাধ্যমে ডেটা সরবরাহ করে। 

বেতার Data ট্রানজেকশন এর ভিন্ন Standard ফলো করে, এই nfc (Near Field Communication)। nfc passive component এ Electric কারেন্ট প্ররোচিত ও information পাঠাতে ব্যবহৃত। 

Nfc এর আরেকটি বিষয় হল এটির পরিপূর্ণ inductance নেই যা smartphone কে charge করতে পারে।  

Nfc প্রযুক্তিটিতে Data Transmission Frequencie 13.56 Megahertz এটি 106,212,434 হিসেবেও প্রবেশ করতে পারবে। প্রতি সেকেন্ড কিলোবিট গতিতে Data পাঠাতে পারে। যেসব ছোট ছোট (small data) স্থানান্তর করতে হয় এটির জন্য যথেষ্ট। যেমন ছবি, যোগাযোগ ডিটেলস, গান বা অর্থ প্রদান করা ইত্যাদি। 

২ টি ডিভাইসের মধ্যে যে Data transfer, Data আদান প্রদান হয়, এটিতে nfc ৩ টি স্বতন্ত্র পদ্ধতি দেয়,,, 

পিয়ার to পিয়ার, এটি file আদান-প্রদান করার মত হয়ে থাকে। 

Reader বা Writer, এটি এনএফসি পোস্টার Tag পড়তে হয়ে থাকে। 

Card অ্যামুলেশন, পেমেন্ট করার মতন। 

হয়তো উপরের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা অনেকের মাথার উপর দিয়ে গিয়েছে তাই আরেকটু খোলাসা করি। 

পিয়ার To পিয়ার

সবচেয়ে বেশি যে Mod ব্যবহার করা হয় এটি সেই মোড। এটির ব্যবহার হয় মূলত Smartphone এ বেশি। এটি ২ টি এনএফসি ডিভাইসের মধ্যে তথ্যের আদানপ্রদান ঘটায় ও সহযোগিতা করে। আর এই মোড ব্যবহার করে ২ টি ডিভাইস ডেটা পাঠানোর ক্ষেত্রে Active mod এবং ডেটা গ্রহণের ক্ষেত্রে Passive mod switch করে। 

Reader বা Writer

এটি এক দিকে কাজ করে যাকে একমুখী Data transmission mod বলা হয়। এটি সক্রিয় ডিভাইস যেমন Smartphone সেখানে তথ্য পড়ার জন্য আরেকটি ডিভাইসের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। এটি মূলত nfc ads ট্যাগে ব্যবহৃত হয়। 

Card Emulation

Card emulation হচ্ছে final operation মোড। এখানে nfc ডিভাইসটি smart ও contract less ক্রেডিট কার্ড হিসাবে ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও Public Transport সিস্টেমে ট্যাপ করে সহজেই payment করা যায়। 

Android Nfc কিভাবে কাজ করে


আগেই বলেছি Nfc রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান করে। এটি বেতার যোগাযোগের মত একটি প্রতিষ্ঠান। তাই কোন ডিভাইসে যদি এই এনএফসি প্রটোকলের সঙ্গে লেগে থাকে তাহলে সহজেই একটি অপরটির সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়। 

এটিকে Bluetooth এর সাথে কাজ করানো যায় তবে কাজটি কিছুটা ভিন্নভাবে করতে হবে কারণ এটি electromagnetic induction এর মাধ্যমে কাজ করে। যেমন পোষ্টার বা স্টিকার (passive device) যেগুলিতে কাজ করতে আলাদাভাবে শক্তির দরকার হয় না। আর এটি smartphone বা active device এ easily ডেটার আদান প্রদান সম্পাদন করতে পারে। 

আবার একটি Active NFC Device হিসেবে একটি smartphone Nfc এর মাধ্যমে data পাঠাতে পারে ও গ্রহণ করতে পারে। এটিকে মূলত ৩ mod এ কাজ করানো হয় যথা: রিডার বা রাইটার, কার্ড অ্যামুলেশন ও পিয়ার টু পিয়ার। 

আসুন Nfc ব্যবহার এর সুবিধা সম্পর্কে জেনে নেই,, 

পেমেন্ট সুবিধা


আমরা যখন তখন পেমেন্ট করার জন্য সুবিধা খুঁজি। বর্তমান সময়ে আমরা চাই যত সহজে পেমেন্ট করা যায় ততই ভালো হয়। আধুনিক সুযোগ সুবিধার জন্য পেমেন্ট আরও সহজ হয়ে গেছে আর Nfc ব্যবহার করেও এই সুবিধা পাওয়া যায়। তাই সহজ পেমেন্টের জন্য Nfc হতে পারে একটি বেটার অপশন। এটি আপনার ওয়ালেট কে আপনার smartphone এর সাথে মিলাতে বা একত্রিত করতে সাহায্য করে। আর এই প্রক্রিয়ায় Nfc খুব ভালো ও গগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর কারণ হলো এর মাধ্যমে payment করতে পারবেন ঠিক সহজে শুধু স্পর্শের মাধ্যমেই। 

বহুমুখী সুবিধা


নানান পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে এই nfc/এনএফসি। হোক সেটা ব্যাংক কার্ড বা মুভি পাস কিংবা কোন রিওয়ার্ড সিস্টেম, ট্রানজিট পাস সহ যেকোন পরিস্থিতিতে ব্যবহার করতে পারেন এই Nfc প্রযুক্তিটিকে। 

গ্রাহকদের জন্য উন্নত সেবা


অনেক কাজ হয়েছে স্বয়ংক্রিয় Nfc এর বদৌলতে। এনএফসি আবিস্কারের সাথেই স্বয়ক্রিয় হয়েছে অনেক কাজ। আর এটি কাস্টমার পরিষেবার জন্য ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করে। আর যেসব সংস্থা আছে সেগুলিকে এটি দেয়া আরও সময় যাতে তারা তাদের কাস্টমার ও গ্রাহকদের দিতে পারে আরও ভালো ও উন্নতমানের সেবা-পরিষেবা সমূহ। 

Real time আপডেট


আমরা সকলেই জানি Nfc এর সহোযোগীতায় এখন Real time Data গ্রহণ করা যায়। তাই এখন অনেক কাজ হয়েছে সহজ ও এসব করা যায় সুষ্ঠভাবে রক্ষণাবেক্ষণ। আর অনেক কর্মচারীরও দরকার পরে না। 

আমরা সকলেই ক্রেডিট কার্ডের magnetic স্ট্রিপের কথা জানি আর Nfc এখানেও সুবিধা দেয় কারণ Nfc ক্রেডিট কার্ড এর থেকেও বেশি নিরাপদ হয়ে থাকে। আর এটিতে সিকিউরিটির জন্য পিন দেয়া হয় যা এটির সিকিউরিটি,নিরাপত্তা আরও বেশি মজবুত করে। 

Nfc এর বেশকিছু অসুবিধাও রয়েছে, আসুন জেনে নেই কিছু nfc অসুবিধা সম্পর্কে,, 

কোম্পানিতে করা চুক্তি গত সমস্যা


Nfc এর তথ্যমতে এটি যেকোন সময় ও যে কোন স্থানে ব্যবহার করা যাবে। তবে এটি সব ক্ষেত্রে ঠিক নয় কারণ কোন কোম্পানি যদি nfc কে ban করে দেয় বা নিষিদ্ধ রাখে তাহলে সেখানে nfc কাজ করবে না। তাই অনেক সময় এটি কোম্পানির চুক্তিগত সমস্যা তৈরি করতে পারে। 

নিরাপত্তা


Nfc সহজলভ্য হতে হতে এখন মোবাইলে এটি সম্পূর্ণভাবে রয়েছে। তাই কোনভাবে যদি Hacker দের হাতে মোবাইল হ্যাক হয়ে যায় তাহলে হ্যাকার-রা চাইলেই সব গোপন তথ্য ফাঁস করতে পারবে। তাই nfc কে নিরাপদ বলা যায় না।

বাস্তবায়নে সমস্যা


Nfc অনেক ডিভাইসে কাজ করে না বা nfc এর বৈশিষ্ট্য থাকে না। এজন্য Nfc কি ভালোভাবে প্রয়োগ বা বাস্তবায়ন করা কঠিন। 

ব্যয়বহুল


Nfc অনেকটা ব্যায়বহুল। এটি ব্যায়বহুল হওয়ায় অনেক প্রতিষ্ঠান এটিকে রাখতে চায় না এবং অপছন্দ করে। nfc ব্যায়বহুল না হলে এটা অনেকেই পছন্দের তালিকায় রাখতো। 

NFC-র ব্যবহার


অনেক জায়গাতেই NFC ইউজ করা হয়। এনএফসি এর অনেক ব্যবহার রয়েছে। আসুন এবার জেনে নেই এনএফসি এর ব্যবহার সম্পর্কে,, 

স্মার্ট কার্ড


এনএফসি পেমেন্ট করার ঝামেলা কে রোধ করে একইসাথে পেমেন্ট প্রক্রিয়াকে খুব সহজ করে। তাছাড়া nfc পেমেন্ট মেথডের নানান ঝামেলা দূর করে এবং Nfc ইন্টিগ্রেটেড স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করার মাধ্যমে একাধিক ধাপের পেমেন্ট প্রক্রিয়াকে এড়িয়ে চলা সহজ হয়। 

Nfc এর স্মার্ট কার্ড এতটাই প্রভাব ফেলেছে যে আজকাল মাস্টারকার্ড, ভিসার মত বড় বড় ও শীর্ষ পেমেন্ট পরিষেবাগুলি ইদানীং তাদের গ্রাহকদের NFC এমবেডেড স্মার্ট কার্ড সরবারহ করে। 

Nfc ইন্টিগ্রেটেড স্মার্ট কার্ডের আরও অনেক ব্যবহার আছে যেমন: পার্কিং টিকিট, দ্রুত পার্কিং, শপিং পয়েন্ট যোগ করা, কুপন ভাঙ্গানো ইত্যাদি। বিশ্বের যত বড় বড় ব্যাংক আছে সেই ব্যাংকগুলোতেও Nfc ইন্টিগ্রেটেড চিপের ব্যবহার সম্পর্কে প্রচার প্রসার করা হয়। 

ই-ওয়ালেট


মোবাইল ইউজার যারা আছে তারা হয়রো ক্যাশলেস পেমেন্ট system সম্পর্কে অবগত আছেন। মোবাইলের মাধ্যমে cashless payment system এখন অনেক জনপ্রিয়। এসব সেবা গ্রাহকদের সুবিধা প্রদান করেছে। যারা পরিষেবা প্রদান করে থাকে তারা এখন স্মার্টফোনের সাথে পেমেন্ট Option যুক্ত করেছে। যার কারণে nfc ট্যাগ ডিভাইসে এম্বেড করা হয়েছে। 

স্মার্ট ফোন পেমেন্ট সিস্টেমগুলির মধ্যে Apple pay, google wallet (Android pay) & 
Samsung pay অনেক জনপ্রিয়। 

স্মার্ট টিকিট


আমরা সবাই অতিতের টিকিটিং সিস্টেম সম্পর্কে জানি। তবে যুগ বদলেছে, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অনেক সিস্টেম দিন দিন উন্নত ও ডিজিটাল হচ্ছে যার মধ্যে স্মার্ট টিকিটিং একটি। 

অতিতের টিকিটিং সিস্টেমকে বর্তমানের ইন্টিগ্রেটেড স্মার্ট চিপ ব্যবহার করে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আর এর কারণে অনেক সুবিধা পাচ্ছে বাস, ট্রেন ও বিমানের যাত্রীরা। এর সাথে আছে এনএফসি ট্যাগগুলো যা অনেক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। যেমন সিনেমার টিকিট, স্মার্ট পোষ্টার, বিজ্ঞাপন ফ্লায়ার, কনসার্টের টিকিট এবং তথ্য link গুলিতে ব্যবহার হচ্ছে। 

স্বাস্থ্যসেবা ও ঔষধ 


Nfc এর সেবা ছড়িয়ে পড়েছে অনেক জায়গায়। এমনকি স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসার দিক দিয়েও এটির ব্যবহার উল্লেখযোগ্য। বর্তমানে nfc - ইন্টিগ্রেটেড সিস্টেম স্বাস্থ্যসেবা ও মেডিসিন সেক্টরে ব্যবহৃত হয়। Nfc কল্যাণে এখন আর ঔষধ নির্ধারণের ঝামেলা পোহাতে হবে না। এনএফসি অনেক বেশি নির্ভুলভাবে মেডিসিন নির্ধারণ করে। এরই সাথে চেকইন করা, রোগীর অবস্থা পরীক্ষা করা, পে(payment) করা ও তাদের Record TTrac করা সহ নানান কাজ করে এই এনএফসি। 

এনএফসি এর ইন্টিগ্রেটেড যেসব ডিভাইস আছে সেসব কনফিগার করা সহজ। চিকিৎসক এবং এ ধরনের পেশাদার ব্যাক্তিরা খুব সহজভাবেই সময়সূচী পরীক্ষা করতে পারে। তার সাথে চিকিৎসার যন্ত্রপাতিসমূহ অ্যাক্সেস করতে পারে। 

কীলেস অ্যাক্সেস


যোগাযোগ ব্যবস্থায় কীলেস অ্যাক্সেস কাজ করে খুব ভালোভাবে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে কীলেস অ্যাক্সেস খুবই পরিচিত একটি Application, বিশেষকরে কাছাকাছি যোগাযোগ এর জন্য এটি কার্যকরী। এসব নানান সুবিধা ও সহজ বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে NFC এখন একটি জনপ্রিয় পছন্দ। 

এর সাথে আছে খুবই সুন্দর সেবা NFC ও RFID Tag এই ট্যাগগুলোর রয়েছে চমৎকার কাজ। এসব ট্যাগ দরজা এবং সীমাবদ্ধ এরিয়া/এলাকায় প্রবেশ করতে ব্যবহার করা যায়। গাড়ি নানান যানবাহন এর অ্যাক্সেস, কী শনাক্তকারী ব্যাজ হিসেবেও এটি ব্যবহার করা যায়। যা আমাদেরকে আরও ভালো সুবিধা দেয়। 

উৎপাদন শিল্প


বর্তমান আধুনিক যুগে চলর আধুনিক উৎপাদন শিল্প। আর এই আধুনিক উৎপাদন শিল্পে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় Smart/স্মার্ট Tag, যেটির সাহায্য নিয়ে একটি কোম্পানির যেকোন পণ্য শনাক্ত বা চিহ্নিত করা যাবে। পণ্যসমূহ ট্র্যাক করতেও এটি ব্যবহৃত হয়। এটির সাহায্যে খুব সহজেই সঠিকভাবে পণ্য ট্র্যাকিং সম্পন্ন করা যায়। 

শিপিং ডেলিভারি সরবরাহ


উপরে আমরা এনএফসির বেশ কয়েকটি ট্যাগ সম্পর্কে জানতে পেরেছি। শিপিং সরবরাহের ক্ষেত্রেও এনএফসি ট্যাগ ব্যবহার করা হয়ে থাকে যাকে আরএফআইডি ট্যাগ বলা হয়। আরএফআইডি ট্যাগসমূহ শিপিং ও সরবরাহ শিল্পে অধিক ব্যবহৃত হয়। আর এসব ব্যবহার করে সঠিক ও সুষ্ঠভাবে ট্র্যাক করা যায়। 

উপসংহার


এভাবেই nfc আমাদের নানান কাজে নানানভাবে সার্ভিস দিয়ে থাকে। 

আশাকরি প্রিয় পাঠকরা এই আর্টিকেল থেকে nfc সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারণা লাভ করেছেন। আর্টিকেল টিতে খুটিনাটি অনেক বিষয় নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে। 

Nfc কিভাবে ও কি কি সেবা প্রোভাইডার তা তো জানলেন। যদি পছন্দ হয় তাহলে আপনার আশেপাশের মানুষদেরকেও লেখাটি সেন্ড করতে পারেন। এতে তারাও এ বিষয়ে জানতে পারবে। 

Nfc ব্যবহার কতটা ভালো তার সেবাগুলো কতটা উন্নত বা আপনার যেকোন মূল্যবান মতামত জানাতে আমাদের কমেন্টবক্সে কমেন্ট করুন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url