ছাত্রজীবনে যে ৫ টি উপায়ে ইনকাম করবেন - Student Obostay Income



ভূমিকা


আসসালামু আলাইকুম, আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করবো ছাত্রজীবনে যে ৫ টি উপায়ে ইনকাম করবেন। আমরা যারা শিক্ষার্থী রয়েছি তারা নিজের পকেট খরচ বা পড়ালেখার খরচের জন্য কোন পার্ট টাইম জব বা ইনকামের সোর্স খুজি। তবে অনেকেই বুঝতে পারি না যে ঠিক কিভাবে ও কোন পথে গেলে ইনকাম করা যাবে। 


অফলাইনে কি করা যায় বা অনলাইনেই বা কি করা যেতে পারে এ নিয়ে ভাবতে থাকি। তবে এখন আর এত ভাবার কিছু নেই বর্তমান ডিজিটাল যুগে অনলাইনেই অনেক ইনকামের পথ খোলা রয়েছে। আমরা চাইলেই খুব সহজেই নানান উপায়ে ইনকাম করতে পারি। পার্ট টাইম বা ফুল টাইম কাজ করে একটা ভালো এমাউন্ট আর্ন করা যায়। 


অনেক স্টুডেন্ট জানে না যে কিভাবে ইনকাম করা যায় নানান সেক্টরে তাদের জন্যই এই আর্টিকেল। আজকের আর্টিকেলে আমরা দেখাবো ৫ টি উপায়ে কিভাবে ইনকাম করা যায়। যারা চাচ্ছেন অনলাইন বা অফলাইনে আর্নিং শুরু করবেন তারা এই আর্টিকেল পড়ে ভালো ধারনা পাবেন।


এই আর্টিকেলে অফলাইন ও অনলাইন দুইভাবে ইনকাম করার উপায় বর্ণনা করা হবে। এর সাথে আরও উল্লেখ করা হবে কোন কোন স্কিল শিখলে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়া কিছু ক্ষতিকর দিক নিয়েও আলোচনা করা হবে। আর কোন কোন কাজ করলে আমরা নিজেদের ডেভলাপ করতে পারবো আর কোন কোন কাজে আমরা নিজের স্কিল বাড়ানো সম্ভব হবেনা, এ সব নিয়েই আলোচনা করার চেষ্টা করবো। যাতে স্টুডেন্টরা একটা সুস্পষ্ট ধারনা লাভ করতে পারে। 


মানি আর্নিং এর জন্য আমাদের যোগ্যতা-দক্ষতা ও স্কিল থাকা জরুরি। অনেক কাজে আমরা পিছিয়ে থাকবো যদি আমাদের স্কিল শিখা না থাকে। তাই এই আর্টিকেলে কিছু কাজের কথা বলা হবে যেসব করতে স্কিল শিখাও জরুরি, আসুন শুরু করি। 


১) টিউশন পড়িয়ে ইনকাম করা


আজকের আলোচনা ছাত্রজীবনে যে ৫ টি উপায়ে ইনকাম করবেন সে বিষয়ে। আর তার প্রথমটিই হচ্ছে কিভাবে টিউশন পড়িয়ে ইনকাম করা যায়। আমরা সকলেই জানি টিউশনি করে ইনকাম করা যায়। তবে কয়েকটি বিষয় জানা জরুরি। 


টিউশনি পড়িয়ে ইনকাম করা নতুন কিছু নয়। আদিকাল থেকেই পূর্বপুরুষদের আমল থেকে আমরা টিউশনি করি ও এ সম্পর্কে জানি। চাইলে খুব সহজেই টিউশনি করে ভালো এমাউন্টের আর্নিং করা যায়। 


পার্ট টাইম নাকি ফুল টাইম টিউশনি করবো? 


স্টুডেন্ট হিসেবে আমরা চাইলেই কোন কাজ পার্ট টাইম বা ফুল টাইম করতে পারি তবে অনেক ক্ষেত্রে বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কারণ উভয়ের উপকার ও অপকার দুটিই আছে। 


যদি একসাথে অনেকগুলি টিউশনি করা যায় তাহলে মাস শেষে খুব সহজে অনেক ভালো টাকা ইনকাম করা যাবে। যদি পার্ট টাইম টিউশনি করেন তাহলে ভালো তবে ফুল টাইম করলে ভালোর সাথে সাথে একটি খারাপ দিক থাকবে। 


ফুল টাইম টিউশনি করলে ইনকাম ভালো হলেও নিজের স্কিল বা নিজেকে ডেভলাপ করা যাবে না। একই কাজ সময় দিয়ে ইনকাম করা হবে তবে এ থেকে কোন স্কিল ডেভলাপ করা যাবে না। তাই টিউশনি করার পাশাপাশি স্কিল ডেভলাপ করতে হবে। যদি টিউশনিতেই সময় কাটাই তাহলে ইনকামটা সময়ের দেয়ার মাধ্যমে হবে আলাদা কোন স্কিল গ্রো হবে না। এটি ছাড়া টিউশনি একটি ভালো উপায়। 


২) কন্টেন্ট রাইটিং করে টাকা ইনকাম


বর্তমান সময় নানান ভাবে ইনকাম করা যায় যদি আপনার ভালো একটা স্কিল থাকে। অনেকসময় স্কিল ডেভলাপের পাশাপাশি ইনকাম করা যেতে পারে। বর্তমানে অনলাইন জগতে কন্টেন্ট রাইটার অনেকেই খোঁজে থাকেন। কন্টেন্ট রাইটিং করে স্টুডেন্টরা খুব সহজেই ইনকাম করতে পারে। আর এই কাজ করতে পারবে হাতে থাকা স্মার্ট ফোন বা ল্যাপটপ এর সাহায্যে। 


কন্টেন্ট রাইটিং এর শাখা সমূহ কি কি? 


কন্টেন্ট রাইটিং এর নানান সেক্টর রয়েছে আপনি চাইলে নানান প্লাটফর্মে কন্টেন্ট রাইটিং করতে পারেন। কন্টেন্ট রাইটিং এর মধ্যে আছে, ব্লগ-ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল লেখা, নিউজের জন্য লেখা, ইউটিউবের জন্য স্ক্রিপ্ট লেখা ও নানান প্রজেক্ট ফিল্ম এর জন্য স্ক্রিপ্ট লেখা সহ আরও নানান শাখা। 


এসবের কাজ ও টাকাও নানারকম। যদি বড় বড় স্ক্রিপ্ট, ফিল্ম-প্রজেক্টের সাথে কাজ করেন তাহলে ভালো ইনকাম হবে। আবার ব্লগ সাইটে যদি কাজ করেন তাহলে আলোচনা সাপেক্ষে কম বেশি ইনকাম হবে। যদি বাংলা কন্টেন্ট লিখেন ওয়েবসাইটের জন্য তাহলে ৩০০ থেকে ১০০০+ পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন প্রতি ১০০০ ওয়ার্ডে। 


আর যদি ইংরেজিতে আর্টিকেল লেখেন তাহলে তূলনামূলক বেশি ইনকাম হবে এর পাশাপাশি বিদেশি ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করতে পারবেন। কাজ করতে পারবেন সোস্যাল মিডিয়ায়, এবং বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে। ফাইবার আপওয়ার্কের মত মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারবেন। 


তাই ইংরেজি কন্টেন্ট লিখতে পারলে অনেক ইনকাম করা সম্ভব। তবে বাংলা রাইটিং এ তূলনামূলক কম ইনকাম হবে। তবে ভালো প্লাটফর্মে বা ক্লায়েন্ট পেলে কাজ অনুযায়ী ভালো ইনকাম করা যেতে পারে। 


বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে বাংলাদেশি ক্লায়েন্ট খোঁজতে হবে। বাংলা কন্টেন্ট প্রভাইড করার জন্য আপনাকে নানা বাংলা কমিউনিটি সাথে জয়েন থাকতে হবে সেটা হতে পারে গ্রুপ, পেজ ইত্যাদি। এছাড়াও অনেকের কন্টেন্ট রাইটার প্রয়োজন হয় তাদের সাথে যোগাযোগ করেও কাজ নেয়া যাবে। অনেকে ইউটিউবের জন্যেও স্ক্রিপ্ট রাইটার খোঁজে থাকেন তাদের সাথে যোগাযোগ করে নিজের পোর্টফলিও দিয়ে খুব সহজেই কাজে প্রবেশ করা যেতে পারে। 


হয়তো ভাবতে পারেন পোর্টফলিও টা আবার কি? পোর্টফলিও হচ্ছে মূলত আপনার কাজের নমুনা বা সেম্পল সমূহের লিস্ট। কন্টেন্ট রাইটার দের জন্য যে পোর্টফলিও প্রয়োজন হয় সেটা হচ্ছে তাদের কয়েকটা আর্টিকেল এর লিঙ্ক যা সেম্পল হিসেবে বায়ার কে প্রোভাইড করা হবে। বায়ার যদি আপনার লেখা পছন্দ করে তাহলে আপনাকে কাজে হায়ার করবে। তাই কন্টেন্ট রাইটিং শিখা ও পোর্টফলিও মেইক করা জরুরি। নানান জায়গায় কাজ করলে এক্সপেরিয়েন্স লিঙ্ক ও দেয়া যেতে পারে এতে পোর্টফলিও আরও বেশি মজবুত হবে।


কন্টেন্ট রাইটিং একটা স্কিল এটি না জানলে ইনকাম করা যাবে না। তাই যারা শিক্ষার্থী আছেন তারা যদি কন্টেন্ট রাইটিং শিখেন তাহলে এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন ঘরে বসেই। তবে এর জন্য সৃজনশীল মানসিকতা ও টাইপিং দক্ষতা ও রিসার্চ করার মত নলেজ থাকতে হবে। সাথে অনেক বই পড়া নলেজ গেইন করা তো আবশ্যক কারণ নলেজ না থাকলে আপনি লিখতেও পারবেন না। কন্টেন্ট রাইটার হতে হলে গবেষণা করুন, পড়ুন ও লিখুন। 


৩) অফলাইন বা অনলাইন বিজনেস বা সেলার জব


বর্তমানে ছোটখাটো বিজনেস করেও ইনকাম করা যেতে পারে তবে সেটা অনেকের কাছ হয়তো কষ্টসাধ্য হতে পারে। তবে অনলাইন জগতে এখন ছোট খাটো বিজনেস করা খুব একটা কঠিন না। সল্প টাকা দিয়েই বিজনেস করতে পারেন। 


অনলাইনে কিছু প্রোডাক্ট সেল করা যেতে পারে কম টাকায় জিনিস কিনে বিক্রি করে যেতে পারে। হোমমেইড জিনিসপত্র বা খাবার, কেক, বার্গার, বিরিয়ানি সহ নানান খাবার জিনিস বিক্রি করতে পারেন। বিজনেস করার মাধ্যমে দিন শেষে একটা ভালো এমাউন্ট আর্ন করা পসিবল। তবে একটা ঝুঁকি থেকেই যায়। 


যেহেতু বিজনেস করবেন সেহেতু ঝুঁকি থেকেই যাব কারণ অনেকের বিজনেস করার মত অবস্থা থাকে না। আর বিজনেসে যদি লাভ না হয় তাহলে সেটা আরেক সমস্যা। তাই বিজনেস না করতে পারলে আরকজনের বিজনেসে জয়েন হয়ে কাজ করে যেতে পারে। আরেক জনের পণ্য সেল করার দায়িত্ব নিলে আপনার আর টাকা দিতে হচ্ছে না এবং ঝুঁকিও থাকছে না। 


সেলিং করে ইনকাম


সেল বলতে আমরা বুঝি দোকানদার যেভাবে সেল করে সেটা। তবে আমি সে সেলের কথা বলছি সেটা মূলত আরেকজনের আন্ডারে সেল জব নেওয়া। সহজভাবে বললে ‘ধরুন একজনের কম্পানি আছে সে পাঞ্জাবি বিক্রি করে আপনি তার দোকানে অনলাইন বা অফলাইনের মাধ্যমে সেল এর দায়িত্ব দিলেন।’ আপনার কাজ হচ্ছে সেই ব্যাক্তির পাঞ্জাবি বিক্রি করিয়ে দেয়া। আপনি অনলাইনেও এই কাজ টা করতে পারবেন। আরেকজনের পণ্য আপনি যদি বিক্রি করিয়ে দেন তাহলে মালিকের কাছ থেকে আপনি প্রোফিট বা কমিশন পাবেন। 


আপনি চাইলে কোম্পানির মালিকের সাথে টাকার ব্যপারে আলোচনা করতে পারেন যে প্রতি প্রোডাক্টে কত কমিশন নিবে। সে অনুযায়ী কাজ করে স্টুডেন্ট অবস্থায় ইনকাম করা যাবে। এতে না থাকবে টাকার টেনসন না থাকবে ঝুঁকি না থাকবে বিজনেসের ক্ষতি হবার টেনসন। 


যদি ভালো নেটওয়ার্ক বানাতে পারেন অনেক মানুষের সাথে ভালো যোগাযোগ থাকে তাহলে খুব সহজেই প্রোডাক্ট গুলি আপনি বিক্রি করতে পারবেন। আপনার সোস্যাল মিডিয়ার বন্ধু বা অফলাইনের বন্ধুদেরকেও সাজেস্ট করার মাধ্যমে বিক্রি করে কমিশন লাভ করতে পারবেন। 


৪) গ্রাফিক্স ডিজাইন


আমরা চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখেও ইনকাম করতে পারি। গ্রাফিক্স ডিজাইনের নানান সেক্টর আছে যেসব সেক্টরে কাজ করা এবং স্কিল অর্জন করা সময় সাপেক্ষ। বলতে গেলে সব কাজই শিখতে হলে সময় দিতে হয়। গ্রাফিক্স ডিজাইন করেও আমরা ইনকাম করতে পারি তবে গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর এডভান্স বিষয়গুলো হয়তো আমরা করতে পারবো না তাই বেসিক থেকেই আমাদের কাজ করতে হবে। গ্রাফিক্স ডিজাইনের একদম বেসিক কাজগুলি মোবাইল দিয়েই করা সম্ভব এবং সেই কাজগুলো দিয়ে ইনকাম করাও সম্ভব। আপনি চাইলে মোবাইল দিয়েই কাজগুলো করতে পারবেন। তবে ল্যাপটপ থাকলে অবশ্যই বেটার হবে তবে ব্যাপার না মোবাইল দিয়েই অনেকে ইনকাম করে এমনকি বিদেশী মার্কেটপ্লেসও কাজ করে থাকে। তাই দেরি কিসের আজই বেসিক গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে কাজে নেমে পড়ুন। আসুন জেনে নেই বেসিক কিছু ডিজাইন সেক্টর সম্পর্কে,,, 


লগো, থাম্বেল ডিজাইন করে ইনকাম 


বর্তমান সময়ে মোবাইল দিয়েই যেহেতু নানান কাজ করা সম্ভব এবং কাজ করার নানা সুযোগ সুবিধা আছে একইসাথে শেখার প্লাটফর্মেরও অভাব নেই সেহেতু না বসে থেকে কাজ করা যেতেই পারে। অনলাইনের মাধ্যমে বাসায় বসেই এসব কাজ করে ইনকাম করা যাবে। লগো ও থাম্বেল ডিজাইন শিখে ইনকাম করা সম্ভব। এসব কাজ মোবাইলেও করা যায়। অনেক কোম্পানির জন্য লগো প্রয়োজন হয় আপনি যদি তাদের সাথে যোগাযোগ করেন এবং আপনার ডিজাইন গুলি দেখান তারা অবশ্যই আপনাকে দিয়ে ডিজাইন করিয়ে আপনাকে ভালো এমাউন্ট দিবে। 


কাজ জানা থাকলে কাজের অভাব হবে না। নানান পেইজ, ইউটিউব চ্যানেল, সোস্যাল মিডিয়ায় জন্য লগো ডিজাইন করে ইনকাম করা যাবে। বর্তমানে অনেক ইউটিউবার বাংলাদেশে আছে এবং নতুন নতুন ইউটিউব ও তৈরি হচ্ছে। তাদেরও নানন লগো ডিজাইনারের প্রয়োজন পড়ে তাদেরকে লগো বানিয়ে ইনকাম করা যেতে পারে। 


নানা এডিটিং এপ্স দিয়ে মোবাইলেই লগো মেইক করা ও থাম্বেল মেইক করা যায়। এসব করে লোকাল ক্লায়েন্টের পাশাপাশি বিদেশী ক্লায়েন্টের কাজ করেও ডলার কামাতে পারবেন। তবে এর জন্য প্রয়োজন দক্ষতা, সৃজনশীলতা ও একাগ্রতা। 


বড় বড় ইউটিউবার দের জন্য সেম্পল থাম্বেল বানালে তাদের নজরে যদি পড়েন তাহলে তারা আপনাকে হায়ার করতে পারে। এমনকি আপনাকে পার্মানেন্টলি হায়ার করতে পারে। এতে আপনার আরও ভালো ইনকাম হবে। আর মোবাইল দিয়েই এসব সম্ভব। কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এর অজুহাতে যদি বসে থাকেন তাহলে চলবে না। হাতের কাছে যেটা আছে সেটা দিয়েই শুরু করুন আস্তে আস্তে নিজেকে আপডেট করবেন। তবে শিখতে থাকুন শিখা কখনো বিফলে যাবে না। 


মোবাইল দিয়ে লগো ও থাম্বেল ডিজাইনের সফটওয়্যার


মোবাইলে অনেক সফটওয়্যার/এপ্লিকেশন আছে সেসবের মাধ্যমে সহজেই লগো, থাম্বেল ডিজাইন করা যায়। তার মধ্যে আছে PS cc যা কম্পিউটারের ফটোশপের মতই একটা এপ্লিকেশন। তারপর আছে পিক্সেলল্যাব যে এপ দিয়ে মোবাইল দিয়েই নানা রকম ডিজাইন করা যায়। তাছাড়া Canva এপ্লিকেশন প্লাস ওয়েবসাইট আছে সেখান থেকে সহজ ও ইজি স্টেপ ফলো করে লগো ও থাম্বেল ডিজাইন করা যাবে। এছাড়াও রয়েছে Picart যেখানে কম স্কিলেই ভালো কাজ করা যায়। 


এসব শিখার নানান কোর্স রয়েছে যা ইউটিউবে পাওয়া যায়। ইউটিউব থেকে ফ্রিতে শিখে এসব এপ্লিকেশন এ এক্সপার্ট হয়ে ইনকাম করা যায়। অথবা অনেক ফ্রিলান্সার ভাইয়েরা আছেন তাদের কাছ থেকে কোর্স কিনে কোর্স করা যেতে পারে তবে যেহেতু টাকা পয়সার ব্যাপার তাই ফ্রিতে ইউটিউবে করাটা বেটার হবে। 


৫) ভিডিও এডিটিং করে টাকা ইনকাম


আমরা যারা স্টুডেন্ট তারা অনেক বাড়তি সময় পাই যে সময়গুলিকে কাজে লাগিয়ে ভালো একটা স্কিল আয়ত্ত করা যায়। বর্তমান এই ডিজিটাল বিশ্বে ভিডিও এডিটিং এর চাহিদার কোন কমতি নেই। আপনি যদি একজন ভালপ ভিডিও এডিটর হতে পারেন তাহলে দেশ ও বিদেশের মার্কেট কাঁপাতে পারবেন। দেশেও নানান অফলাইন প্রতিষ্ঠান কম্পানিতেও ভালো টাকায় চাকরির সুযোগ ও পাবেন। আর বিদেশী ক্লায়েন্টের এর সাথে কাজ করে মাসে ডলার আর্ন করতে পারবেন। 


তবে এই স্কিল এ ভালো হতে হলে কম্পিউটার প্রয়োজন। যা দিয়ে ভালো ভিডিও এডিটিং করা যায়। তবে আমরা যারা মোবাইল ইউজার তারাও চাইলে ভিডিও এডিটিং এর মোটামুটি কাজ শিখে ইনকাম শুরু করতে পারি। 


ভিডিও এডিটিং এর জন্য অনেক Ai website ও এপ্লিকেশন আছে। এপ্লিকেশন এর মধ্যে আছে kine master, capcut, filmora, alight motio ও নানা এপ্লিকেশন যা দিয়ে ভালো মানের ভিডিও এডিট করা সম্ভব এবং ইনকাম করাও পসিবল। 


এ জন্য প্রয়োজন স্কিল শিখা এপ্সগুলির ব্যবহার জানা। ইউটিউবে এসবের টিউটোরিয়ালের অভাব নেই। তাই যদি স্কিল জেনে কাজ শুরু করতে চান মোবাইল দিয়ে তাহলেও পারা যাবে। শুধু প্রয়োজন কাজের মনমানসিকতা ও প্রবল ইচ্ছা। 


যদি ভিডিও এডিটিং শিখতে পারেন তাহলে অনেক ইউটিউবার আছে দেশে ও বিদেশে তাদের ভিডিও এডিট করে ইনকাম করা যাবে। তাছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপনের জন্যও অনেকে ভিডিও এডিটর হায়ার করেন তাদের সাথেও কাজ করা যায়। অনেক অফলাইন প্রতিষ্ঠানো এ ক্ষেত্রে আপনাকে কাজ দিবে। যদিও সেটা তখন ফুলটাইম কাজে রুপান্তরিত হয়ে যাবে। তবে এই স্কিল শিখলে পার্ট টাইম ও ফুল টাইম ইনকামের ওয়ে অবশ্যই লাভ করবেন। 


স্টুডেন্ট সময়টাই সবচেয়ে বেস্ট সময় কোন কিছু শিখার। এর পর নানান কারণে আমরা ব্যাস্ত হয়ে পড়বো যার ফলশ্রুতিতে নতুন কোন কিছু শিখা সম্ভব নাও হতে পারে। তাই আমদের উচিত সময়কে অপচয় না করে অযথা ফেসবুক, ইউটিউব ব্রাউজিং আর টিভি সিনেমা না দেখে প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানো। প্রোডাক্টিভ কাজে সময় দেয়া। যা আমাদের পরবর্তী কাজেও সাহায্য করবে। 


শেষকথা


আমরা অনেকেই স্টুডেন্ট অবস্থায় ভাবি কিভাবে কিছু মানি আর্ন করা যায়। তবে ঠিক বুঝে উঠতে পারি না কি কাজ করে ইনকাম করা যাবে বা কি স্কিল শিখে কাজ করলে ভালো একটা এমাউন্ট আর্ন করা যাবে। স্টুডেন্ট অবস্থায় নিজের পকেট খরচ বা পড়ালেখার খরচ চালানোর জন্য আমাদের ইনকাম সোর্স প্রয়োজন হয়। উপরে উল্লেখ করা ৫ টি কাজ ও স্কিল শিখে আমরা চাইলে ছাত্রজীবন থেকেই ইনকাম করা শুরু করে দিতে পারি। 


তাই আসুন অযথা সময় নষ্ট না করে প্রোডাক্টিভিটি বাড়াই এবং কাজে লেগে পরি। পরবর্তীতে আমরা অনেক স্কিলের ডিপে গিয়ে আলোচনা করবো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url