মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল | দ্রুত বিয়ে ও উত্তম জীবনসঙ্গী পাওয়ার আমল - druto biye howar amol

 বিয়েকে আমরা অনেকেই সুন্নতি আমল হিসেবে জেনে থাকি। তাই একজন মানুষের বিয়ে করার সামর্থ্য হয়ে গেলে অবশ্যই বিয়ে করে ফেলা উচিত। কেননা সঠিক সময়ে বিবাহ করার রয়েছে অনেক আমল। তাই বিয়ের জন্য উপযুক্ত হয়ে গেলে অবশ্যই বিয়ে করে ফেলা উচিত।আজকের পোস্টে মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল, জীবনসঙ্গী পাওয়ার আমল, ৭ দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমলমেয়েদের বিয়ে না হলে কি করা উচিত এই বিষয়ে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক:-

মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল - দ্রুত বিয়ে ও উত্তম জীবনসঙ্গী পাওয়ার আমল - druto biye howar amol - NeotericIT.com


মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল সম্পর্কে যারা জানতে চান , নিওটেরিক আইটির আজকের এই আর্টিকেল তাদের জন্য । 

তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার জন্য দোয়া 

বিবাহ হলো মহান আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে নির্ধারিত একটি বিষয়। কিন্তু সমাজের বিভিন্ন নিয়ম-কানুন এর মধ্যে পড়ে অনেকেই সঠিক সময়ে বিবাহ করতে পারেন না। অনেকের বয়স হয়ে গেলেও পাত্র পাত্রীর সমস্যার কারণে বিবাহ হতে চায় না। যেসব যুবক-যুবতীদের বিবাহর বয়স অতিক্রম হয়ে যাচ্ছে কিন্তু বিবাহ হচ্ছে না তাদের জন্য যুবকেরা ডান হাত দিয়ে বাম হাতের কঞ্জি চেপে ধরে ও যুবতীরা ডান হাত দিয়ে বাম হাতের কঞ্চি চেপে ধরে প্রত্যেক ফজরের নামাজের পর সূর্যোদয় হওয়ার আগে চল্লিশ বার হিসাবে ৪০ দিন পর্যন্ত ইয়া ফাত্তাহু পড়তে পারেন। 

তাছাড়া নিয়মিত নামাজের পর তাসবীহে ফাতেমি পড়লে দ্রুত বিয়ে হয়ে যেতে পারে। তবে তাসবীহে ফাতেমি পড়ার আগে অবশ্যই কোরআন তেলোয়াত ও দরুদ পাঠ করা খুবই উত্তম। সুরা ফাতেমী হলো:-

আলহামদুলিল্লাহ সূরা ৩৩ বার পড়া 

তাছাড়া সূরা তাওবার এই আয়াতটি তেলাওয়াত করতে হবে:-

উচ্চারণ: ফাইং তাওয়াল্লাও ফাকুল হাসবিয়াল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহুয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আজিম

সূরা ইস্তেগফার পড়তে হবে: সব সময় জবানে ইস্তেগফার জারি রাখতে হবে। অর্থাৎ আস্তাগফিরুল্লাহ পড়তে হবে। যে ব্যক্তিরা বেশি বেশি ইস্তেগফার করে থাকে তারা মুসতাজেবুদ দাওয়াহ। যাদের দোয়া মহান আল্লাহতালা কখনো ফেরায় না।

উচ্চারণ: আসতা গফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুমু ও য়া আতুবু ইলাইহি

সূরা ইয়াসিন পাঠ করতে হবে: সুরা ইয়াসিন হচ্ছে বিয়ে সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে থাকে। যাদের বিয়ের প্রস্তাব আসে কিন্তু বিয়ে হয় না তাদের জন্য সূরা ইয়াসিন দারুন ও কার্যকরী আমল। সুরা ইয়াসিনে সাতটি মুবিন রয়েছে। প্রতিদিন সকালে সূর্য যখন পূর্ব আকাশে লাল হয়ে ওঠে তখন পশ্চিম মুখী হয়ে সুরা ইয়াসিন পড়তে হবে। আর যখনই মুবিন শব্দ তেলাওয়াত করা হবে তখনই শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে পিছনের দিকে অর্থাৎ সূর্যের দিকে ইশারা করতে হবে। 

Dua That Will Help You Get Married Soon

Dua That Will Help You Get Married Soon With Good Wife Or Good Husband Recited by Saad Al Qureshi


اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اُرِيْدُ اَنْ اَتَزَوَّجَ فَقَدِّرْ لِيْ مِنَ النِّسَآءِ اَعْفَهُنَّ فَرْجًا وَ احْفَظَهُنَّ لِيْ فِيْ نَفْسِهَا وَ اَوْسَعْهُنَّ لِيْ رِزْقًا وَاَعْظَمهُنَّ لِيْ بَرَكَةً فِيْ نَفْسِهَا وَ مَا لِيْ فَقَدِّرْ لِيْ مِنْهَا وَلَدًا طَيِّبًا تَجْعَلُهٗ خَلَفًا صَالِحًا فِيْ حَيَاتِيْ وَ بَعْدَمَوْتِي


Allahumma Innee Urreedu An Atazawwaja Faqaddir Lee Minan Nisaa-I A’fihunna Farjajan wa Ah’fadh’ihunna Lee Fee Nafsihaa Wa Awsa-i-Hunna Lee Rizqan Wa A-dhamahunna Lee Barakatan Fee Nafsihaa Wa Maaleee Faqaddir Lee Minhaa Waladan Tayyiban Tajaluhoo Khalafan Saalihan Fee Hayaatee Wa Ba`da Mawtee.


“O’ Allah! I desire to marry, so arrange for me a woman from those who willingly abstain from what is unlawful and who safeguards her soul for my sake and because of her, not only my means of sustenance will increase, but also make there be in it abundance and also make it sure that she will give me a virtuous son, who will be a noble successor in my life and after my death.” Ameen

দ্রুত মেয়েদের বিয়ে হওয়ার দোয়া।মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল

মেয়েদের দ্রুত বিয়ে হওয়ার কোন দোয়া পড়তে হবে বা মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল সম্পর্কে নিচে কিছুটা ধারণা দেওয়া হলো:-

সুরা ইয়াসিন পড়তে হবে: সুরা ইয়াসিনকে কোরআনের হৃদয় বলা হয়ে থাকে। এই সূরাটি অনেকটা বরকতপূর্ণ একটি সূরা। তাই দ্রুত মেয়েদের বিয়ে হওয়ার জন্য এই সূরাটি নিয়মিত পড়া যেতে পারে। 

সূরা কাসাসের ২৪ নম্বর আয়াত ও সূরা দোহা পড়তে হবে: মুসা আলাইহিস সালাম যখন একাকীত্ব বোধ করতেন তখন সূরা কাসাস পড়তেন। কোন মেয়ে যদি ১০০ বার সূরা কাসাসের ২৪ নম্বর আয়াত পড়েন তাহলে তার দ্রুত বিয়ে হবে ও পছন্দের পাত্র পাবে।

আরো পড়ুন ঃ ইসলামে বিবাহ পড়ানোর নিয়ম

আল্লাহ পাককে বেশি বেশি স্মরণ করতে হবে: ১১ বার দরুদ শরীফের পর অবশ্যই ৩১৩ বার আল্লাহর নাম এরপরে আবার ১১ বার দরুদ শরীফ এভাবে ৪১ দিন প্রত্যেক নামাজের পরে যদি কোন মেয়ে পড়ে তাহলে তার পছন্দের পাত্র পাবেন। 

সূরা তাওবার ১২৯ নম্বর আয়াত পড়তে হবে: সূরা তাওবার ১২৯ নম্বর আয়াত অবশ্যই নিয়মিত পড়তে হবে। প্রত্যেকদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর ১৯ বার বিসমিল্লাহ, ১১০০ বার সূরা তাওবার ১২৯ নম্বর আয়াত,১০০ বার দরুদ শরীফ, ও ১৯ বার বিসমিল্লাহ পড়তে হবে। 

সূরা মারইয়াম পড়তে হবে: দিনের যেকোনো নামাজের পর সূরা মারইয়াম পড়তে পারেন। এই দোয়াটি যেকোনো পাত্রী পড়লে খুবই অল্প সময়ের জন্যই তার জন্য উপযুক্ত পাত্র পেয়ে যাবে। 

নিয়মিত তাজবিহে ফাতেমি ও নিয়মিত সূরা মুজাম্মিল পড়তে হবে: মেয়েরা উপযুক্ত হয়ে গেলে দ্রুত বিয়ে করার আমল করতে চাইলে অবশ্যই নিয়মিত তাজবিহের ফাতেমি ও নিয়মিত সূরা মুজাম্মিল পড়ার অভ্যাস করতে হবে। এইভাবে পড়তে থাকলে আল্লাহতালা খুবই অল্প সময়ের মধ্যে তার জন্য উপযুক্ত পাত্রের সন্ধান করে দেন। 

মেয়েদের ইয়া ফাত্তাহু পড়ার নিয়ম 

মেয়েদের ইয়া ফাতাহ পড়ার সঠিক নিয়ম রয়েছে। ইয়া ফাতাহু যদি সঠিক নিয়মে পড়া যায় তাহলে এর কার্যকারিতা খুবই অল্প সময়ের মধ্যে দেখা যায়। মেয়েরা প্রত্যেক ফজরের নামাজের পর ডান হাত বাম হাতের উপর রাখিয়া ইয়া ফাতাহু অর্থাৎ হে মুক্তকারী  আল্লাহ এই নামটি ৪০ বার পড়তে হবে।  এই নামটি যদি প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর পশ্চিম দিকে তাকিয়ে পড়া যায় তাহলে ৭০ দিনের মধ্যে বিবাহের পাত্র জুটে যাবে। 

মেয়েদের বিয়ে না হলে কি করা উচিত

প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের যদি সঠিক সময়ে বিয়ে না দেওয়া হয় তাহলে অভিভাবকের গুনাহ হবে। প্রত্যেক মা-বাবা কর্তব্য হচ্ছে মেয়েদের দ্রুত বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা। তবে মেয়েদেরও বিয়ের আগে কিছু আমল করা উচিত তাহলে দ্রুত বিয়ে হবে। 

মেয়ে হোক বা ছেলে হোক যাদের বিয়ে হতে দেরি হচ্ছে তারা ইয়া লাতিফু এই নামের জিকির ওযু সহকারে প্রতিদিন ৫০০ বার করে পাঠ করবে।তাছাড়া যারা প্রত্যহ ১০০ বার করে ইয়া মুআখখিরু পাঠ করবে তাহলে আল্লাহতালা খুব দ্রুতই তাদের মনের বাসনা পূরণ করবে। 

তাছাড়া মেয়ের অভিভাবকগণ একাধারে ১১ দিন পর্যন্ত এশার নামাজের পর ইয়া মুগনী এই নামে মোবারক ১১ হাজার বার পাঠ করবে। 

৭ দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল। দ্রুত বিয়ে ও উত্তম জীবনসঙ্গী পাওয়ার আমল

অনেক বন্ধুরা ৭ দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল  সম্পর্কে জানতে চান ।  ইসলামে বলা হয়েছে ছেলে মেয়ে উপযুক্ত হয়ে গেলে অবশ্যই তাদেরকে বিবাহ দিয়ে দিতে হবে। সঠিক সময়ে যদি ছেলে মেয়েকে বিবাহ না দেওয়া না হয় তাহলে তারা গুনাহগার হবে এবং তাদের পিতা-মাতাও গুনাহগার হবে। অনেকের বিয়ে করার ইচ্ছা থাকলেও কোন কারনে বিয়ে হচ্ছে না। তারা চাইলে নিচের দোয়া বা আমলটি করতে পারেন:-

রাব্বানা হামলানা মিন আযওয়াঝিনা ওয়া জুররিয়্যাতিনা কুররাতা আইউনিও ওয়াঝআলনা লিলমুত্তাকিনা ইমামা

অর্থ: হে আমাদের মহান সৃষ্টিকর্তা। আপনি আমাদের এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান করুন যারা আমাদের চক্ষু শীতল করবে। আর আপনি আমাদের মুক্তাকিদের নেতা বানিয়ে দিন। 

বিয়ে ও উত্তম জীবনসঙ্গী পাওয়ার আমল। দ্বীনদার জীবনসঙ্গী পাওয়ার দোয়া

দ্বীনদার জীবনসঙ্গী পাওয়ার দোয়া সম্পর্কে নিওটেরিক আইটির এই পর্বে আলোচনা করা হয়ছে  বিয়ে ও উত্তম জীবনসঙ্গী পাওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের কিছু আমল করতে হবে। আমাদের মধ্যে এমন অনেক নারী পুরুষ রয়েছে যারা ভালো ও উত্তম জীবনসঙ্গী পায় না। যাদের বিয়ে হচ্ছে না এবং উত্তম জীবন সঙ্গী পেতে চান তারা চাইলে কিছু আমল করতে পারেন:-

১.সর্বপ্রথম গুনাহের সকল কাজ পরিহার করতে হবে। আপনি যদি গুনাহগার ব্যক্তি হন এবং সকল ধরনের গুনাহের কাজ করে যাচ্ছেন কেমন হয়ে থাকে তাহলে কখনোই উত্তম জীবনসঙ্গী পাবেন না। 

২.বিয়ে ও উত্তম জীবনসঙ্গী পাওয়ার জন্য সকল সময় ইস্তেগফার পড়তে হবে। 

৩.বিয়ে ও উত্তম জীবনসঙ্গী পাওয়ার জন্য অবশ্যই নিজেকে দ্বীনদার হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কেননা নিজের যদি ধর্মপ্রাণ না হয়ে থাকেন তাহলে কোনভাবেই জীবনসঙ্গিনী ভালো হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। 

৪.আল্লাহর কাছে সকল সময় নিজের মনের ইচ্ছা গুলো তুলে ধরতে হবে। কেননা দোয়া ছাড়া মহান আল্লাহতালা কখনোই দ্রুত কোন কিছু কবুল করেন না। 

দ্রুত বিয়ে ও উত্তম জীবনসঙ্গী পাওয়ার আমল গুলি আমাদেরকে অবশ্যই পড়তে হবে। তাহলে আমাদের মনের ইচ্ছা খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে পূর্ণ হবে। 

রাব্বানা হাবলানা মিন মিন আযওয়াঝিনা ওয়া জুররিয়্যাতিনা কুররাতা আইয়ুনিও ওয়াঝআলনা লিলমুত্তাক্বিনা ইমামা।

অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক। আপনি আমাদের এমন স্ত্রী সন্তান দান করুন যারা আমাদের চোখ জুড়িয়ে দেয় ও আমাদের মুত্তাকী লোকদের নেতা বানিয়ে দেয়। 

তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল,দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমল,বিয়ে হওয়ার আমল,দ্রুত বিয়ে হওয়ার দোয়া,তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার দোয়া,দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমল জেনে নিন,তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার উপায়,তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার মন্ত্র,খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার দোয়া,দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমল,তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার পরীক্ষিত আমল,দ্রুত বিয়ে করার আমল,বিয়ে হওয়ার দোয়া,দ্রুত বিবাহ হওয়ার আমল,দ্রুত বিয়ে হওয়ার পরীক্ষিত আমল,বিয়ে হওয়ার আমল,তারাতারি বিয়ের দোয়া,তাড়াতাড়ি বিয়ে ইত্যাদি নিয়ে অনেকে সার্চ করে থাকেন । আশাকরি আপনারা আপনাদের সঠিক তথ্য পেয়েছেন । ধন্যবাদ 

শেষ কথা, 

আশা করি ইতিমধ্যে মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল বা তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার দোয়া সম্পর্কে আজকের পোস্টটি থেকে মোটামুটি ধারণা পেয়ে গিয়েছেন। তারপরে যদি এই নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন থাকে বা পোস্টটি পড়ে কোন বিষয় সম্পর্কে বুঝতে কোন ধরনের অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ। 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url